কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: জন্ডিসের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। নবজাতকের ক্ষেত্রে এই জন্ডিসের কারণ এবং চিকিৎসা বড়দের থেকে ভিন্ন। নবজাতকের জন্ডিস বলতে আমরা সাধারণত ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিসকেই বুঝি।
রোগের কারণ
নবজাতকের লোহিত কণিকায় যে হিমোগ্লোবিন থাকে, তা বড়দের থেকে গুণগতভাবে আলাদা এবং পরিমাণেও বেশি থাকে। এই হিমোগ্লোবিন আয়ুষ্কাল কম, তাই এরা তাড়াতাড়ি ভাঙে এবং অধিক পরিমাণে বিলিরুবিন তৈরি করে। এই অতিরিক্ত বিলিরুবিন নবজাতকের অপরিণত ও অপরিপক্ব লিভার দ্রুত নিষ্কাশন করতে পারে না। এতে রক্তে এই মাত্রা বেড়ে যায়। আবার লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে এবং সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়। স্বাভাবিক ধরনের এই জন্ডিস ছাড়া আরেক ধরনের অস্বাভাবিক বা প্যাথলজিক্যাল জন্ডিস রয়েছে।
নবজাত শিশুদের দুই-তৃতীয়াংশেরই ক্লিনিক্যাল জন্ডিস হয়ে থাকে। এর কারণ তিন ভাগে বিভক্ত করা যায় :
১. জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, যেমন :
ক. হিমোলাইটিক ডিজিজ—তার মধ্যে আরএইচ, এবিও ইনকমপিটিবিলিটি (মা ও নবজাতকের রক্তের ভিন্নতাজনিত সমস্যা)।
খ. ইন্ট্রোইউটেরাইন ইনফেকশন, অর্থাৎ মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় ইনফেকশন, যেমন—টকসোপ্লাজমোসিস, সাইটোমেগালো ভাইরাস, রুবেলা, সিফিলিস ইত্যাদি।
গ. গ্লুকোজ সিক্স ফসফেট ডিহাইড্রোজিনেস ডেফিসিয়েন্সি বা স্বল্পতা।
২. জন্মের ২৪-৭২ ঘণ্টার ভেতর, যেমন :
ক. ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস বেশি হয়, যদি প্রিম্যাচিওর বা অপরিণত শিশু হয়, বার্থ এসফ্যাকসিয়া (জন্মকালীন শ্বাসকষ্ট), এসিডেসিস, হাইপোথারমিয়া, হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজের স্বল্পতা) ক্যাফাল হেমাটোমা ইত্যাদি থাকে।