কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর পেলে পরীক্ষা বাতিল ও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গত কয়েক বছর ধরেই পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস এক আলোচিত বিষয়। বেশ কিছু পরীক্ষার আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন পাওয়া গেলেও পরীক্ষা বাতিলের ঘটনা তেমন একটি ঘটেনি। তবে এবার এ বিষয়ে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘যখনই কোনো প্রশ্ন ফাঁস হবে, আমরা খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করব।’
এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান। মন্ত্রী জানান, এবার সারাদেশে পরীক্ষা হবে অভিন্ন প্রশ্নে। ফলে শিক্ষার্থীদের সমমূল্যায়ন হবে।
এর আগে সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষা শেষের পরেও যদি প্রমাণিত হয় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে তবে সে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আমরা খুবই ডেসপারেট ও অ্যাগ্রেসিভ। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’
প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এটা বরদাশত করব না। তদন্ত চলছে, দায়ীদের চিহ্নিত করার পর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘আমরা সবদিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। আগে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস হতো, সেটা বন্ধ করেছি। কিন্তু এখন শিক্ষকরাই প্রশ্নফাঁস করছেন। তবে সব শিক্ষক নন, কিছু শিক্ষক এসবের সঙ্গে জড়িত।’
সভায় উপস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পরিচালক নাজমুল আলম বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ট্রেজারি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক বড় গাফিলতি হয়। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন পাওয়া গেছে। আমরা তা নিয়ে কাজ করছি।’