কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে শিশুরা সবচাইতে বেশি ঝামেলা করে। না খাওয়ার অযুহাত, হাজারটা বায়না পূরণ করেও না খাওয়া- প্রায় সব শিশুর বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ রয়েছে মা-বাবার। আবার অনেকসময় শিশু আকৃষ্ট থাকে ফাস্টফুডের দিকে। সব মিলিয়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে শিশুর ওজনে। চলুন জেনে নিই, শিশুর ওজন বাড়াতে করণীয়-
শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যসম্মত সব খাবারদাবার। শিশুর খাবারের ক্যালরির মাত্রা নিয়ে নিশ্চিত হোন যে তা আপনার সন্তানের চাহিদা পূরণ করছে কিনা।
খাবারের সময়কে আনন্দময় করে তুলুন আর শিশুকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে কোন রকমের তাড়াহুড়ো করবেন না। পরিবারের সবাই একসাথে শিশুকে নিয়ে খাবার খেতে বসুন
শিশুকে যাই খাওয়ান না কেন, কখনো জাঙ্কফুড বা ফাস্টফুডের প্রতি আসক্ত যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। তা না হলে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে আগ্রহী করতে কষ্ট হবে।
খাবার রান্না ও বিভিন্ন রকমের রেসিপির ব্যপারে ও খাবার পরিবেশনের সময় শিশুর সাহায্য নিন। এতে সে খাবারে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর শিশুকে বারবার খাবার খেতে উৎসাহিত করুন যা ওজন বাড়াবার মূল চাবিকাঠি।
আপনার শিশু যদি খুব বেশি বেছে বেছে খায় আর ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খেতে না চায় তবে তাকে ক্যালরি সমৃদ্ধ যেসব ড্রিংক পাওয়া যায় তা খেতে দিন, তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
শিশুর ওজন বাড়াতে যে খাবারগুলো খুব দরকার- দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার যেমন ঘি, পনির, পায়েস, পুডিং ইত্যাদি; প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, বাদাম, শিমের বিচি; শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন আলু, ভাত, রুটি ইত্যাদি খেতে দিন।
নিশ্চিত হোন যে আপনার সন্তান শুধু সাধারণ পানি বা পানীয় খেয়েই দিন পার করছে না। এতে শিশুর খিদে কমে যায় আর শিশুর খাবার গ্রহণেও অনিয়ম দেখা যায়।