শিশুর মিথ্যা বলা : অভিভাবকের করণীয়

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: অনেক সময় সন্তানের কিছু মিথ্যা হেসেই উড়িয়ে দেন বাবা-মা। সাবধান! এতে শিশুর মিথ্যা বলায় সংকোচ কেটে যাবে। তাকে আদর করে কাছে ডেকে মিথ্যা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করুন এবং পরবর্তীকালে এ রকম না করার অনুপ্রেরণা দিন। খেয়াল করুন, আপনাকে দেখে সে মিথ্যা বলার অভ্যাস রপ্ত করছে কিনা।

শিশুর মন ভোলাতে কিংবা খেলাচ্ছলেও মিথ্যা বলা ঠিক না। দাম্পত্য কলহ এড়িয়ে চলুন এবং একে অপরকে দোষী করতে বা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে শিশুকে ব্যবহার করবেন না। মনে রাখবেন, পারিবারিক পরিবেশ শিশুর অনুকূলে থাকলে এবং মা-বাবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে শিশু নিরাপদ বোধ করে এবং শিশুকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় না। ধৈর্য ও সহনশীলতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সারাক্ষণ উপদেশ শুনতে কার ভালো লাগে? একটি মিথ্যা নিয়ে অসংখ্যবার বকুনি দেবেন না। এতে ফল বিপরীত হতে পারে।

মিথ্যা বললেই হুট করে তাকে শাস্তি দেবেন না। বরং তাকে ক্ষমা চাইতে শেখান। কঠোর হয়ে বা শাস্তি দিয়ে মিথ্যা রোধ করা যায় না। শিশুর জন্য আদর ও শাসন দুই-ই থাকবে কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত নয়। বেশিরভাগ মা-বাবা তাদের মতামত শিশুর ওপর চাপিয়ে দেন। টেলিভিশনে কী দেখবে, কী পোশাক পরবে সবই তারা ঠিক করেন।

এটি না করে শিশুকে তার মত প্রকাশের সুযোগ দিন। তা হলে সে লুকিয়ে কিছু করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করবে না। কথা বলে ওর মানসিক অবস্থা বুঝে সে অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করুন। যেসব পরিস্থিতিতে শিশু মিথ্যা বলে, সেসব এড়িয়ে চলুন।