সেলিনা শেলী : পরীক্ষা এলে সব শিশুর মনেই ভয় কাজ করে। কেমন হবে শিশুর পরীক্ষার প্রস্তুতি। অনেক সময় পরীক্ষার ভয়ে তারা আত্মবিশ্বাসের অভাবে উত্তর জানা সত্ত্বেও পরীক্ষার খাতায় ভুল লিখে আসে। আসলে পরীক্ষার আগে ওদের মনে ফেল করার ভয় ঢুকে যায়। সেই সঙ্গে থাকে একাগ্রতার অভাব। এই দুয়ের কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতিও ঠিক মতো হয় না। ফলে চিন্তা বেড়ে গিয়ে সমস্যা বাড়তেই থাকে।
এ কারণেই এ সময় আরো বেশি করে যত্নশীল হতে হবে তাদের প্রতি। জেনে নিন কিভাবে শিশু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হবে।
১. সিলেবাস কতটা আছে তার উপর ভিত্তি করে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আর সেই মতো কাজে লেগে যান। খেয়াল রাখবেন সময়ের মধ্য়েই যেন সিলেবাসের সব পড়া যেন শেষ হয়ে যায়।
২. হাতে সময় থাকতে থাকতে সব পড়া শেষ করার চেষ্টা করবেন। মনে রাখতে হবে পরীক্ষা যত এগিয়ে আসবে শিশু তত ভীতু হয়ে পড়বে। যার প্রভাব পড়বে পড়াশোনায়।
৩. শিশুকে অতিরিক্ত হোম ওয়ার্ক না করানো্ই শ্রেয়। স্কুলের নির্ধারিত হোম ওয়ার্কসহ অন্যান্য পড়াশোনা ভালোভাবে করছে তাহলে তাকে উৎসাহ দেয়াই উত্তম। এতে পরীক্ষায় ভালো ফল করার আগ্রহ তৈরি হয় শিশুর মধ্যে।
৪. যদি শিশু ঠিক মতো না পড়ে তাহলে রাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বরং ফেল করার খারাপ দিকগুলো শিশুকে ভালোভাবে বোঝানো জরুরি। তবে ভুলেও বেশি কড়াকড়ি করাটা ঠিক হবে না। এমনটা করলে পড়াশোনার প্রতি শিশুর আগ্রহ কমে গিয়ে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. যতক্ষণ শিশু কোনো বিষয় বুঝতে পারছে না, ততক্ষণ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা উত্তম। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে এই কাজটি করতে হবে।
৬. বারে বারে লিখিত পরীক্ষা নিলে শিশু মধ্যে নিজের প্রতি আস্থা তৈরি হবে। একটা অধ্যায় পড়া শেষ হলেই তার উপর পরীক্ষা নিয়ে নিলে ভাল হয়। এমনটা করলে শিশুর তাড়াতাড়ি লেখার অভ্যাস হয়ে যাবে। ফলে পরীক্ষার হলে কোনো সময় নষ্ট হবে না।
৭. রিভিশন খুব দরকারি একটি জিনিস। তাই পরীক্ষার আগে শিশুর হাতে যাতে রিভিশনের সময় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখলে বেশ ভাল ফলাফল আশা করা যেতে পারে শিশু কাছে ।
এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে শিশুর কাছে নিশ্চয়ই ভালো ফল পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত শিশুকে উৎসাহ দেয়া হলে শিশুর মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি হবে। এমনটা করলে ভালো ফল করার ইচ্ছা তার মধ্যেও তৈরি হবে।