কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: রোজা পালন শিশুর জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুর রোজা পালনে ধৈর্য ও মানসিক শক্তি বাড়ে। শিশুর রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। শরীরের খারাপ পদার্থগুলো কিডনি, অন্ত্র দিয়ে বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়। এ বছরও আমাদের সোনামণিরা রোজা পালন করছে। রমজানে তাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে মা-বাবাকেই।
শিশুদের রোজা রাখার বিষয়ে করণীয়
মা-বাবা বা বড়-ভাইবোনদের দেখাদেখি যখন বাড়ির ছোট শিশুটিও রোজা রাখতে চায়, মা-বাবা চিন্তায় পড়েন শিশুর সারা দিনের পুষ্টিচাহিদা পূরণ নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের রোজা রাখতে কোনো নিষেধ নেই। শুধু মা-বাবা কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই চলবে। শিশুর শরীরে যেন পানির ঘাটতি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তাই ইফতারের পর থেকে শেষরাত পর্যন্ত সময়ে তাকে প্রচুর পানি, শরবত ও বিভিন্ন পানীয় দিতে হবে। এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলোঃ
১.শিশুকে প্রতিদিন ছয় থেকে নয় গ্লাস পানি পান করতে দিন।
২.ঘন করে স্যুপ রান্না করে দিতে পারেন। স্যুপে ডিম ও মাংসের ব্যবহার শিশুকে জোগাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
৩.শিশু যদি মুড়ি না খায়, তাহলে তাকে তৈরি করে দিতে পারেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
৪.ঘরেই বার্গার তৈরি করে দিতে পারেন শিশুকে। বেশি করে মাংস দিয়ে বার্গার তৈরি করলে সে খেয়েও মজা পাবে, আবার তার পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। এ ছাড়া মুরগির মাংস ভেজে দিতে পারেন। দিতে পারেন ডিম অথবা মাংসের চপ।
৫.বাইরের পিজা বা বার্গার ইফতারে না খাওয়াই ভালো।
৬.শরবতে চিনি একটু বেশি দিতে পারেন। আবার চাইলে শিশুকে আধা গ্লাস শরবত ও আধা গ্লাস গ্লুকোজ দিতে পারেন।
৭.শেষরাতে ঘুম থেকে উঠে শিশু হয়তো বেশি খেতে পারছে না, সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, শিশু অল্প খেলেও যেন সঠিক পরিমাণে ক্যালরি পায়। ভাত, মাছ, মুরগি বা গরুর মাংস যা-ই সে পছন্দ করে, তা-ই তাকে দিতে পারেন। তাকে মুরগি বা মাছ ভাজি করে দিলে সে পছন্দ করে খেতে পারে।
৮.শেষরাতে তাকে দুধ, ফিরনি বা অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাবার দিতে পারেন। চাইলে তাকে দিতে পারেন এক কাপ চা-ও।
৯.ইফতারে বেগুনি বা ছোলা-মুড়ি খেতে নিষেধ নেই শিশুর। এক্ষেত্রে, নানা রকম ফল মিশিয়ে কাস্টার্ড তৈরি করেও দিতে পারেন।