শিশুদের মাঝে সৃজনশীলতা বাড়াতে বিজ্ঞানবাক্স

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: শিশুদের সৃজনিশক্তি বিকশিত করতে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সাধারণত শিশুর মানসিক গড়ন, চিন্তা কাঠামো, সৃজনশীলতার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে ওঠে শৈশবেই। শৈশবের অভিজ্ঞতাই ভবিষ্যতের মানুষটি কেমন হবে, তা ঠিক করে দেয়। শিশুদের ছেলেবেলার অভিজ্ঞতাকে যতো বেশি সৃজনশীল করা যাবে, তার মানসিক বিকাশও ততো ভালো হবে।
নির্দিষ্ট কোন রুটিনে আবদ্ধ না করা
আমাদের সমাজটা খুব সৃজনবান্ধব না। স্কুল, কোচিং সবখানেই সেই চেনা জগৎ। এসো, শেখো, মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগরে দাও। শিশুর মানসিক বিকাশের জন্যে এটা মোটেও সহায়ক নয়। এমনিতেই দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে তাদের বিনোদনের স্থানগুলো। ভরাট হয়ে যাচ্ছে মাঠ, উঠছে হাইরাইজ বিল্ডিং। এমন নিগড়বদ্ধ জীবনে তাকে একটু খোলা বাতাস, একটু নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিন।
তিরষ্কার কম করা
সে কোন ভালো কাজ করলে তাকে বাহবা দিন, অনুপ্রেরণা যোগান, সম্ভব হলে পুরষ্কৃত করুন। এতে সে উৎসাহী হবে। তবে এই উৎসাহটাও দিতে হবে মাত্রা মেপে। একই কাজের জন্যে বারবার পুরষ্কৃত করলে তার কর্মবৈচিত্র কমে যাবে। বিচিত্র এবং বিভিন্নরকম কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করুন। সে কোন অপরাধ করলে রেগে না গিয়ে তাকে বোঝান।
প্রতিযোগিতা চাপিয়ে দেবেন না
বর্তমান সময়টাই প্রতিযোগিতার। ঘাটে, মাঠে, অফিসে, আদালতে, সবখানেই প্রতিযোগিতা। এমন কী শিশুরাও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ভালো স্কুলে ভর্তি হতে হবে, ভালো রেজাল্ট করতে হবে, এমন নানারকম বাধ্যবাধকতা। এসব শিশুমনে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলাফল কখনই ভালো না।
প্রযুক্তি নির্ভরতা কমান
প্রযুক্তির প্রতি অতি নির্ভরতা শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা। এর ফলে২+২=? অংক করতেও তার ক্যালকুলেটর লাগে। নিজের ক্ষমতা এবং দক্ষতার প্রতি সংশয় জন্ম নেয়, এবং তার চিন্তা ভাবনায় কোন স্বকীয়তা থাকে না। সে হয়ে ওঠে যন্ত্রনির্ভর।
শিশুদের সৃজনিশক্তি বিকশিত করতে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপনার শিশুর জন্যে বিজ্ঞানবাক্স হতে পারে সেরা উপহার।