কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: রাজধানীর উত্তরাসহ কয়েকটি এলাকায় কিশোর গ্যাং গুলোর প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত দুই বছরে কিছু খুনের ঘটনা সারা দেশেই আলোচিত হয়। এসব ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলে দলগুলো সাময়িক সময়ের জন্য প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখে।
সবশেষ খবর হলো, নতুন নামে, কৌশল পাল্টে তৎপরতা জারি রেখেছে গ্যাংগুলো।বিষয়টি যেমন ভাবিয়ে তুলেছে অভিভাবক ও উত্তরাবাসীকে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও।
কিশোরদের দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনায় তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, উত্তরা আবাসিক এলাকা হওয়ায় এখানে উচ্চ থেকে নিম্নবিত্ত পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের বাস। উচ্চবিত্তের সন্তানরা নিজেদের হাল ফ্যাশনে রাঙিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণে নিতে বিভিন্ন গ্যাংয়ের নামে দাপিয়ে বেড়ায়।
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের সন্তানরাও তাদের এ জীবন আকর্ষণীয় ভেবে হাল ফ্যাশনে নিজেদের সাজিয়ে তুলতে উচ্চবিত্তের সন্তানদের অনুসরণ করছে। কিন্তু আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় বেছে নিচ্ছে ছোটখাটো অপরাধের পথ। ফলে চুরি, রাহাজানি, ছিনতাইয়ের মতো কর্মকাণ্ডে কিশোররা বেপরোয়াভাবে জড়িয়ে পড়ছে। এভাবেই সংঘবদ্ধভাবে গড়ে উঠছে বিভিন্ন গ্যাং বা গ্রুপ।
এসব গ্যাং বা গ্রুপের সদস্যদের সবাই উঠতি বয়সী কিশোর কিংবা যুবক। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার উত্তরা এলাকায় বিভিন্ন নামিদামী স্কুল-কলেজের ছাত্রও। কিন্তু অধিকাংশই বখাটে। কেউ আবার পড়ালেখাও করে না। এসব গ্রুপের বেশির ভাগ সদস্যই স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া। এ ছাড়া এলাকার কিছু অছাত্রও রয়েছে। গ্রুপের সদস্যদের কাজই হলো এলাকার নিরীহ, মেধাবী যুবক ও কিশোরদের চাপে রেখে জোরপূর্বক দলে আসতে বাধ্য করা, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি সৃষ্টি করা।