কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: স্ট্রিট লাইট একটা স্কুল। আরও ভালো করে বললে পথশিশুদের জন্য গড়া একটা স্কুল। স্কুলটা যেহেতু পথশিশুদের জীবনে আলো আনবে তাই এমন নাম। তারপরও আপনমনে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা সবাই। চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষাসহ মৌলিক চাহিদা থেকে বষ্ণিত এসব শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার নিরন্তর চেষ্টা। সুযোগ পেলে পথশিশুরাও এগিয়ে যেতে পারবে এই ব্রত নিয়ে তারা কাজ করে চলেছেন ক্রমাগত।
রাজধানীসহ সারা দেশে কয়েক লাখ পথশিশু রয়েছে যাদের ৮০ ভাগেরই জন্ম ফুটপাথে। বলা চলে পথেই জন্ম পথেই বাস। স্বজনহারা অনেক শিশুও শহরে এসে এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। অবহেলায় বেড়ে ওঠা এই শিশুদের ‘টোকাই’, ‘পথকলি’, ‘ছিন্নমূল’ বা ‘পথশিশু’ বলা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের সংগঠন স্ট্রিট লাইটের। যারা মূলত পথশিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে।
এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নিজেদের পড়াশোনার ফাঁকে এসব পথশিশুদের পড়াচ্ছেন। বই খাতা কিনে দিচ্ছেন। পড়ার পরে আবার নাস্তার ব্যবস্থাও করছেন।
আমরা অহেতুক অনেকে অনেক রকম অর্থ ব্যয় করি। আবার কেউ কেউ অপচয়ও করি। আমরা যদি একটু সংযমী হয়ে কিছু টাকা বাঁচিয়ে পথশিশুদের দেই তবে তা দিয়ে তাদের সংসার চলে যাবে। আমাদের দেশে যত মানুষ জাকাত দেয়ার যোগ্য তারা যদি হিসাব করে প্রকৃত অর্থে জাকাত দেই তা হলে পথশিশুদের আর না খেয়ে থাকতে হবে না।
আমরা সবাই নিজের এবং নিজের সন্তানদের জন্য করা বাজেট একটু কমিয়ে সে টাকা দিয়ে যদি কয়েকজন পথশিশুকে নতুন পোশাক কিনে দেই তবে পথশিশুদের খালি গায়ে থাকতে হবে না। আসুন আমরা সবাই যার যার সাধ্যমতো পথশিশুদের মধ্যে সাহায্যের হাত বাড়াই, যাতে ওরা ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। তা না হলে রমজানের সংযম বৃথা যাবে।