স্কুলে যাওয়ার যোগ্য এক লাখ রোহিঙ্গা শিশু

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে প্রায় এক লাশ শিশু এখনই স্কুলে যাওয়ার যোগ্য বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং ইন্টার সেক্টর কো-অরডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) নামের একটি এনজিও। সংস্থা দুটির তথ্য মতে, এসব শিশুর বয়স চার থেকে ১৪ বছরের মধ্যে এবং তাদের এখনই স্কুলে পাঠানো জরুরি।
ইউনিসেফের কমিউনিকেশন ম্যানেজার এএম শাকিল ফায়জুল্লাহ বাংলা ট্র্রিবিউনকে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ০ থেকে ১৮ বছরের রোহিঙ্গা শিশু আছে দুই লাখ ৪০ হাজার। যাদের মধ্যে লক্ষাধিক শিশু এখনই স্কুলে যাওয়ার যোগ্য।’
ইউনিসেফের দাবি, গত বছর অক্টোবরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রায় ৮০ হাজার রোহিঙ্গা। আর চলতি বছরের ২৪ আগস্ট থেকে এ পর্যন্তনতুন করে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যাদের ৬০ শতাংশই শিশু এবং তারা কক্সবাজারের কুতুপালং, উখিয়া, বালুখালি, লেদা অঞ্চলের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও মানবিক বিকাশে কাজ করেছে ইউনিসেফ, আইএসসিজি, সেভ দ্য চিলড্রেন, ব্র্যাক, কোডেকসহ কয়েকটি সংস্থা ও এনজিও। এসব শিশুকে লেখাপড়া শেখাতে স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোয় লার্নিং সেন্টার, চাইল্ড কেয়ার ও প্রি-স্কুলিং সেবা চালু করেছে তারা। এছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করতে ছবি আঁকা, লুডু-ক্যারামসহ আরও কিছু খেলাধুলার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
আইএসসিজি’র তথ্য অনুযায়ী,রোহিঙ্গাশিশুদের লেখাপড়া শেখাতে ও মানসিক বিকাশে কুতুপালং, উখিয়া, বালুখালি, লেদা অঞ্চলে ১৭৩টি লার্নিং সেন্টার খুলেছে তারা। এর মধ্যে চারটি সেন্টার অস্থায়ী এবং বাকিগুলো স্থায়ী। এছাড়া এক লাখ রোহিঙ্গা শিশুর মধ্যে ১২ হাজার ৯৩৪ জনকে তারা প্রি-স্কুলিং সেবা দেবে। এছাড়া চারটি অস্থায়ী কেন্দ্রে ৪১৩ জন শিশুকেও তারা সেবা দেবে। এর আগে প্রতি স্থায়ী কেন্দ্রে ৩৫ জন শিশুকে সেবা দেওয়া হতো। তবে এখন থেকে প্রতি কেন্দ্রে ৫০ জনকে সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানায় এনজিওটি। শুধু তাই নয় ৪৪৯ জন শিশুকে চাইল্ড কেয়ারে আলাদাভাবে সেবা দেবে এনজিওটি।