সম্ভবনাময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাঙ্গলবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার গা ঘেষে প্রবাহিত আদি ব্রহ্মপুত্রের সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মহাতীর্থস্থান ‘লাঙ্গলবন্দ’।
এই লাঙ্গলবন্দ বাজারের পার্শ্বে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘১৬নং লাঙ্গলবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধ্যাবধি সুনামের সাথে স্বগৌরবে দাড়িয়ে আছে বিদ্যালয়টি। স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সকলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। এটি নিশ্চয়ই প্রাথমিক শিক্ষার দ্রুত উন্নয়নের পথে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরী মজুমদার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলা, বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্কতার বিকাশ ঘটানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সফলতা ধরে রেখেছে। বিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক পরিবেশও ভালো। আমরা ভবিষ্যতে এ স্বীকৃতি ধরে রাখতে চাই।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি। বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রয়েছে ‘সততা স্টোরে’।  যেখানে কোন বিক্রেতা নেই। এই স্টোরে খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, শার্পনার, জ্যামিতি বক্স, পেন্সিল বক্স, রঙ পেন্সিলসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী রাখা হয়েছে। এসব সামগ্রীর প্রতিটিতেই মূল্য তালিকা ঝুলানো আছে। শিক্ষার্থীরা যে সামগ্রী কিনতে ইচ্ছুক সে সামগ্রী নিয়ে সততা স্টোরে রাখা ক্যাশ বাক্সে নিজ হাতে টাকা রাখবে।
শিক্ষাদানের বিষয়ে প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকা খুবই অভিজ্ঞ। প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকাই সৃজনশীল পাঠদানের বিষয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত। তাদের পাঠদানের ব্যাপারে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সন্তুষ্ট। এখানে অভিভাবকদের নিয়ে ত্রৈমাসিক সভা করা হয়।
তবে মঞ্জুরী মজুমদার কিছু সীমাবদ্ধতার কথা বলেন। তিনি জানান, বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৪৫০ জন। বিদ্যালয়ে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্টি একটি মাত্র ভবন রয়েছে। ভবনের কক্ষসংখ্যা কম থাকায় শ্রেণী পাঠদানে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যালয় ভবনের সামনে খোলা মাঠ রয়েছে। ভবনটির দক্ষিণ দিকে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। বিদ্যালয়টির জন্য একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরী।