রোহিঙ্গা শিশুদের নিরাপদে ফেরত পাঠাতে হবে

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: রোহিঙ্গা শিশুদের নিরাপদে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আরও নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
গেল বছর অগাস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য হতে প্রায় ছয় লক্ষ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের কুতুপালংক শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। যাদের অর্ধেকের বেশি শিশু।  
গত কয়েকদিন আগে মিয়ানমার সীমান্তের আশেপাশের গ্রামে আগুন ও গোলাগুলির খবর শোনা গেছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমার নিরাপদে ফেরা নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কঠিন হবে।
ইউনিসেফ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি কলেরা থেকে শিশু ও বয়স্কদের রক্ষা করতে ১৬ হাজার শৌচাগার স্থাপন করেছে।
এছাড়া ৮০ হাজার শিশুকে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য শিক্ষা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হলেও তা এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত হয়নি। এখান দুই লক্ষ ২০ হাজার শিশু এখনও শিক্ষা বঞ্চিত রয়েছে।
রোহিঙ্গা শিশুদের বিষয়টি এখন একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে আন্তর্জাতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। ঠিকই এদের জন্য বিদেশ থেকে সহায়তা আসছে, তাই বলে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না।
রোহিঙ্গা শিশুদের প্রতি আমাদের সকলের সদয় হাত বাড়াতে হবে। অপুষ্টি ও রোগব্যাধির শিকার ঐ শিশুদের বাঁচাতে হবে। দেশে-বিদেশে যে যেখানেই থাকুন, ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই চেতনায় যার যতটুকু সাধ্য আছে সেই মতো রোহিঙ্গা শিশুদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।
আর সেই সাথে দিকে দিকে আওয়াজ তুলুন মিয়ানমারের কষাই সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অঙ লাই, নষ্ট ভিক্ষু, অং সান, বিরথা ও তাদের সহযোগীদের গণহত্যার দায়ে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।