কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব ও ছাত্র উৎসবে বাংলাদেশ থেকে শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। শনিবার(১৪ অক্টোবর) থেকে রাশিয়ার সোচিতে শুরু হয়েছে ১৯তম বিশ্ব যুব ও শিক্ষার্র্থী উৎসব -২০১৭। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।
উৎসবে ১৫০টি দেশের ১৮ থেকে ৩৫ বছরের ২০,০০০ এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। উৎসবে অন্যান্য কর্মসূচিসহ বিজ্ঞান ও শিক্ষা, সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।
এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রযুক্তি ও গবেষণা বিষয়ে আগ্রহী ১১ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রোসাটম। রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে বাংলাদেশের প্র্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
রোসাটমের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি পিমেনোভ এ সম্পর্কে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে ১১ জনকে এই উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র বাণিজ্য ও অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয় বরং বিভিন্ন মানবিক ইস্যুতেও বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরো বেগবান করবে। আগামী দিনগুলোতে পরমাণু শক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনা তরুণদের জন্য ‘ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ’ ক্ষেত্রে একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে ৫০ জন বাংলাদেশি রাশিয়ায় নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষালাভ করছে। এবছর আরো ২০ জন তাদের সঙ্গে যুক্ত হবার অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্ব যুব ও শিক্ষার্থী উৎসব ১৯৪৭ সালে প্রথম প্রাগে অনুষ্ঠিত হয়। ইতিপূর্বে ১৯৫৭ ও ১৯৮৫ সালে রাশিয়ার মস্কোতে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবারের উৎসবে জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক কিছু বৈশ্বিক কিছু সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও শিক্ষামূলক ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে ঢাকায় রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক আলেক্সান্দার ডেমিন বলেছেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিশ্ব যুব ও শিক্ষার্থী উৎসব দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তি হিসেবে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ থেকে শতাধিক প্রতিনিধি এবারের এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে।