ভর্তি পরীক্ষার চাপে শিশুরা

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: ভর্তি পরীক্ষার চাপে আছে  শিশুরা। ডিসেম্বর আসলে পড়াশুনার চাপ বেড়ে যায়। কারণ এসময় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের নামি-দামি স্কুলগুলোতে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে কাহিল হয়ে পড়ছে কোমলমতি শিশুরা। তাদের বাবা-মা নাছোড়বান্দা। ছেলে-মেয়েকে ভালো স্কুলে ভর্তি হতেই হবে।
স্কুল থেকে বেত-লাঠি বিদায় নিয়েছে। কিন্তু পড়ালেখা ঘিরে ঘরে ঘরে চলছে শিশুদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এসব শিশুর সুস্থ স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ।
বাচ্চারা নিজেরা পড়তে চায় না। নতুন বই প্রথম কিছু দিন ভালো লাগে। এরপর আর আনন্দ পায় না। কাছে বসে না থাকলে তারা খেলাধুলা এবং দুষ্টামি শুরু করে দেয়। পড়ায় মনোযোগ থাকে না। এত বেশি হোমওয়ার্ক আর পরীক্ষার পড়া থাকে যে অল্প সময়ে অনেক পড়া আয়ত্ব করতে বাধ্য করা হয় তাদের। মারধর না করলে তারা মনোযোগী থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই তাদের শাস্তি দিতে হয় বলে জানান অনেক অভিভাবক।
শিশুদের ওপর যেসব কারণে পড়ার তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘন ঘন পরীক্ষা। বছরে দুই থেকে তিনটি পরীক্ষা ছাড়াও অনেক স্কুলে প্রতি সপ্তাহে ক্লাস টেস্ট আর পরীক্ষার আগে ঘন ঘন মডেল টেস্ট নেয়া হয়। তবে শিশুদের ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টিকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষা।
শিশুদের ওপর অতিরিক্ত পড়ার চাপ নিয়ে যেসব অভিভাবক ও শিক্ষকের সাথে কথা বলা হয়েছে, তারা সবাই একবাক্যই বলেছেন, সমাপনী পরীক্ষা তাদের সবাইকে তীব্র অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। অনেক স্কুল সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য প্রথম শ্রেণি থেকেই শিশুদের ওপর ভারী পড়া এবং কঠোর নিয়ম চাপিয়ে দিচ্ছে।
একটা বাচ্চাকে যখন অতিরিক্ত পড়ার চাপ দেয়া হবে তখন সে শারীরিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঠিক মত খেলাধূলা করা, বিনোদনের সুবিধা না পেলে সে শারীরিকভাবেও মোটা হয়ে যাবে। সেই সাথে মানসিকভাবেও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাচ্চাকে একশো তে একশো পেতে হবে এই মানসিকতা সবার পরিহার করতে হবে।