নিজের বিয়ে বন্ধ করলো কিশোরী

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: ভোলার চরফ্যাশনে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজের বিয়ে ঠেকাল মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরী। উপজেলার দক্ষিণ মাদ্রাজ এম রব হামিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ওই ছাত্রীর (১৪) বিয়ের দিন ছিল শুক্রবার। এ কথা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা সুপারকে সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরী আমার কাছে এসে বিয়ে বন্ধের একটি দরখাস্ত দেয়।
শুক্রবার পুলিশ ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাস হাজারীগঞ্জে ওই কিশোরীর বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করেন। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন তার মা।
যাহোক, বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা৷ ইউনিসেফের শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিবেদনে অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে৷ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো হওয়া বাধ্যতামূলক৷
অশিক্ষা, দারিদ্র, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারনে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছে৷ বাল্য বিবাহের প্রধান কুফলঃ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
আমরা যদি সবাই সচেতন হই তাহলে কন্যা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে৷ দেশে মা ও শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে৷ তাই বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এখন থেকেই৷