কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: নাতির জন্য দাদির ভালোবাসা চিরকালের কিংবদন্তি। এমনই এক ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ৭৬ বছর বয়সী নারী শি ইউয়িং। প্রতিদিন ২৪ কিলোমিটার হেঁটে শারীরিকভাবে অক্ষম নয় বছরের নাতিকে স্কুলে দিয়ে আসেন তিনি।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংজির বাসিন্দা ওই নারীকে দিনে চারবার স্কুলে যাতায়াত করতে হয় নাতি জিয়াং হাওয়েনের জন্য। হুইল চেয়ারে করে প্রতিদিন জিয়াংকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। পরে আবার গিয়ে নিয়ে আসেন। কতদিন এই কাজ করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শি বলেন, ‘যতদিন শক্তি আছে, ততদিন নাতির জন্য এই কাজ করে যাবো।’
মস্তিষ্কে ‘সেরেব্রাল পালসি’ রোগ হওয়ার পর শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে জিয়াং। হাঁটতে পারে না সে। সার্বক্ষণিক দরকার হয় কেয়ার। জিয়াংয়ের চার বছর বয়সে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার মা-বাবার। এরপর থেকে দাদির কাছেই বড় হয়েছে সে।
জিয়াংয়ের বাবা বাস করেন অন্য একটি শহরে। আর মা পরে আরেকটি বিয়ে করেছেন। প্রথমে নাতিকে বাইসাইকেলে করে দিয়ে আসতেন শি। গত জুলাইতে চীন সরকার তাকে একটি হুইল চেয়ার দেয়। গত চার বছর ধরে নাতিকে এই সেবা দিয়ে আসছেন শি।
এই কাজ করতে পেরে খুশি তিনি। শারীরিকভাবে সক্ষম না হলেও জিয়াং অত্যন্ত স্মার্ট বলে জানান এই নারী। গণিতে অসাধারণ দক্ষতা তার। মনে রাখার ক্ষমতাও দারুণ।