দম ফাটানো কৌতুক
মা দেখলো ছেলে গাল চেপে ধরে কাঁদছে। বলল – কিরে কাঁদিস কেন?
ছেলে- বাবা দেয়ালে পেরেক মারতে গিয়ে আঙুলে ব্যাথা পেয়েছে।
মা- তো এতে কাদার কি আছে? বাবা বড় মানুষ না, এটুকু ব্যাথায় তার কিছু হয়?
ছেলে- আমিতো প্রথমে হেসেইছিলাম… সেজন্যইতো বাবা আমাকে…
মিসেস রহমান দেখলেন তার পাশের বাসার পিচ্চি ছেলেটা গলির মোড়ে দাড়িয়ে সিগারেট ফুকছে। তিনিতো রেগে কাই। তোতলাতে তোতলাতে বললেন – এ এ এই পিচ্চি…তুমি যে সি সি সি সিগারেট খাও তোমার বাবা মা জানে?
ছেলেটা একটুও না চমকে বলল – আর আপনি যে চান্স পেলেই পরপুরুষের সাথে কথা বলেন সেটা আপনার স্বামী জানেতো?
শিক্ষক বললেন- মামুন বিপরীত শব্দ বলতো – দোজখ।
মামুন- বেহেশত।
শিক্ষক- ভালো।
মামুন- খারাপ।
শিক্ষক- বস।
মামুন – দাড়াও।
শিক্ষক- আজব!
মামুন – স্বাভাবিক।
শিক্ষক- আচ্ছা বেয়াদব ছেলেতো!
মামুন- স্যার এইটা পারি না।
ক্লাস থ্রীর এক ছেলে প্রথম সাময়ীক পরীক্ষার সময় ‘কুমির’ রচনা শিখেছে। সমস্যা হল এর পর যে পরীক্ষাই আসুক সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কুমিরের রচনাই লেখে। যেমন একবার রচনা এলো বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য। তো সে লিখলো- বাবা মা আমাদের জন্ম দেয়। তারা আমাদের লালন পালন করে। কুমিররাও তাই করে। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা…দশ পৃষ্ঠা শেষ।
এরপরের পরীক্ষায় রচনা এলো আমার প্রিয় শিক্ষক। সে লিখল- আমার প্রিয় শিক্ষক এর নাম মোহাম্মদ আসাদ। তার চোখ গুলো গোলগোল। কুমিরেরও চোখ গোল গোল। জেনে রাখা ভালো যে কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা…দশ পৃষ্ঠা শেষ।
শিক্ষক দেখলেন এতো ভারী বিপদ। শেষে তিনি অনেক ভেবে চিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন পলাশীর যুদ্ধ। লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কি করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস।
তো ছাত্র লিখলো- ১৮৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরজুদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফর এর উপর ভরসা করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন।জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা…দশ পৃষ্ঠা শেষ!
বাবা ছেলেকে- তুই সব সময় এতো বেশি বুঝিস কেনরে? তোর কি ধারনা তুই আমার চেয়ে বেশি জানিস? মনে রাখিস আমি কিন্তু তোর বাবা। বাবারা সব সময়ই ছেলেদের চেয়ে বেশি জানে বুঝলি?
ছেলে- আচ্ছা বাবা, বাষ্পীয় ইঞ্জিন যেন কে আবিষ্কার করেছিল?
বাবা- জেমস ওয়াট। কেন?
ছেলে- তো তার বাবা কেন পারেনি।