তরুণ স্থপতির ‘নৌকা স্কুল’

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: এই সমস্যার সমাধানে একজন বাংলাদেশি স্থপতির উদ্ভাবন জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে জীবন এগিয়ে নেওয়ার সহনশীল ‘নৌকা স্কুল’ এখন বিশ্বে সমাদৃত। এ স্কুলে দেশের বন্যায় প্লাবিত প্রত্যন্ত এলাকার শিশুরা ইন্টারনেট ও সৌরবিদ্যুৎ সংবলিত শিক্ষা সুবিধা পাচ্ছে। গত সপ্তাহে এই ‘নৌকা স্কুল’ বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা সিএনএনের জরিপে ‘বিশ্বের অন্যতম ১০টি উদ্ভাবনীমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা’র একটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণ স্থপতি মোহাম্মদ রেজওয়ানের নৌকার মধ্যে তৈরি ‘ভাসমান স্কুল’ এখন বিশ্ব মডেল স্কুল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকির মুখে থাকা ভারত, চীন, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়াসহ আরও অনেক দেশে চালু হয়েছে মোহাম্মদ রেজওয়ানের মডেলের এই ভাসমান স্কুল।
১৬টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক স্থপতি মোহাম্মদ রেজওয়ান। তার প্রকল্পকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে দুটি তথ্যচিত্র। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকা আরও অনেক দেশে চালু হয়েছে এই ‘নৌকা স্কুল’। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, স্ট্নোভেনিয়ার মতো উম্নত দেশের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠক্রমে যুক্ত হয়েছে এই স্কুল। অসাধারণ উদ্ভাবন নৌকার মধ্যে তৈরি এই ভাসমান স্কুল নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে তথ্যচিত্র ‘ইজি লাইক ওয়াটার’।
আফ্রিকা, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্যাপ্রবণ এলাকায় বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উম্নয়ন সংগঠনগুলো মোহাম্মদ রেজোয়ানের নৌকা স্কুলের ধারণা অনুসরণ করছে। ফলে নাইজেরিয়া, জাম্বিয়া, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তানের বেশ কিছু অঞ্চলে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ সহজ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও অন্যান্য সংগঠন রেজোয়ানের উদ্ভাবিত এই ‘নৌকা স্কুল’ মডেলের অনুকরণে হাওর ও বিলে শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদান করছে।
সিএনএনের মতে, বাংলাদেশের উদ্ভাবিত সৌরশক্তিসম্পম্ন ভাসমান স্কুল সমগ্র বিশ্বে একটি নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। প্রতিদিন সকালে প্রাথমিক স্কুলগুলো বিভিম্ন গ্রামে যায় এবং শিশুদের বাড়ির সামনে থেকে নৌকায় তুলে নেয়। তারপর নৌকাটি একটি জায়গায় দাঁড়ায় এবং ৩০ জন শিশুকে নৌকার ভেতরেই শিক্ষা প্রদান করে। স্কুলগুলোতে একটি ল্যাপটপ, শত শত বই থাকে এবং সোলার প্যানেল থেকে উৎপম্ন বিদ্যুতের মাধ্যমে নৌকার ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিগুলো চালানো হয়।