কিশোর কিশোরীদের ফ্যাশন ভাবনা
আজকাল কিশোর কিশোরীরা তাদের ফ্যাশন নিয়ে বেশ সচেতন। শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের মধ্যে তারা নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ।কিশোর কিশোরীর চায় তার নিজস্ব স্টাইল অনুযায়ী পোশাক পরতে। নিজের পছন্দের পাঞ্জাবিটা নিজে ফ্যাশন হাউস থেকে কিনে নেবে এমন ইচ্ছাই আজকের কিশোরদের। প্রয়োজনে বাবার সাথেও শপিংয়ে যাবে। কিন্তু পাঞ্জাবি হওয়া চাই একদম তার মনের মতোই। এই ঈদে কেমন হবে কিশোর-কিশোরীর পোশাক—দেখে নিন এই আয়োজনে।
কামিজের ঘের হচ্ছে নানা রকম। শার্টে থাকছে রঙের বৈচিত্র্যফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে দেখা গেল, ঈদ উপলক্ষে কিশোর-কিশোরীদের জন্য রয়েছে আলাদা আয়োজন। বড়দের পোশাকে ততটা ভিন্নতা চোখে না পড়লেও বৈচিত্র্যময় নকশা আর কাটছাঁটের ভিন্নতা দেখা গেল তাদের পোশাকে। এই বয়সীদের (১২ থেকে ১৯) পোশাক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগটাও থাকে বেশি।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, এবার শুধু নকশাই নয়, পোশাকের কাটছাঁটেও থাকছে ভিন্নতা। প্রজাপতি নকশার প্যাটার্নে তৈরি হয়েছে টিউনিক। কামিজের ঘেরেও থাকছে বৈচিত্র্য। বেশি ঘের দেওয়া কামিজ তো আছেই। পাশাপাশি চলছে লম্বা টপ বা কামিজে অসমান দৈর্ঘ্য অর্থাৎ সামনে বেশি ঘের, পেছনে কম, আবার পেছনে বেশি, সামনে কম ঘেরের নকশার পোশাক। ফতুয়া বা কুর্তায় থাকছে জ্যামিতিক কাট। কিশোর–কিশোরীদের ঈদ ফ্যাশনে আরও থাকছে আনারকলি ঘরানার একধরনের লম্বা পোশাকের আয়োজন। এখন স্লিভলেস পোশাক বেশ চলছে, তাই কিছু পোশাকের হাতায় নতুনত্ব আনতে করা হয়েছে পাইপিংয়ের ব্যবহার। কামিজ আর টপের লম্বা হাতায় থাকছে লেস।
জিন্স সব সময়ই পছন্দের পোশাক, নানা রকম ছাপা নকশার প্যান্টও এখন বেশ চলছে। এ ছাড়া পালাজ্জো তো আছেই।
সুতি, মসলিন, জয়শ্রী সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্কের কাপড়ে তৈরি পোশাকে থাকছে নকশি কাঁথা, লোকজ মোটিফে ব্লকপ্রিন্টের কাজ। দুই পাশে পকেটসহ শার্ট নকশার কিছু পোশাকের আয়োজনও থাকছে। কিশোরীদের জন্য পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে অন্যান্য অনুষঙ্গ যেমন ব্যাগ, জুতা তো আছেই।
শুধু ঈদের দিনই নয়, সারা বছরই যাতে টিনএজ ছেলেরা পরতে পারে, এই বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনাররা ডিজাইন করেছেন।
কিশোর বয়সে মেকআপের বাহার নয়, বরং তরুণ ত্বকের দীপ্তি ফুটে ওঠে—এমন সাজই চাই। চুলে নানা স্টাইল করা যেতে পারে। এলোমেলো বেণিতে থাকতে পারে রংচঙে ক্লিপ, ফিতার নকশা। উঁচু পনিটেইলও বেশ মানায়।
এখন সাজে উজ্জ্বল বা নিয়ন রঙেরই প্রাধান্য। তবে খুব উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে বরং নেইল আর্টে বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে। চোখে থাকতে পারে হালকা কাজল।