কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: নাম তারিক আমিন চৌধুরী। সেন্ট প্লাসিড্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সে। এই বিস্ময় কিশোরের সৃষ্টি চমক তৈরী করেছে।
তার কল্যাণে এর আগে মন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন যন্ত্র, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রোবট দেখেছিল সবাই। এবার যেন নিজের সৃষ্টি ছাড়িয়ে গেল চট্টগ্রামের এই বিস্ময় কিশোর। প্রযুক্তির সহায়তায় একটি বাল্বকে বহুমুখী ব্যবহারে রূপ দেওয়ার চেষ্টা-হয়তো বাংলাদেশে এর আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি।
দশম শ্রেণির ছাত্র তারিককে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র শান্তনু ভট্টাচার্য।
ইলেক্ট্রনিকস পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান বিএমসির ‘স্মার্ট বাল্ব’ নামের একটি বাল্ব বাজারে রয়েছে। যে বাল্বটি বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াই তিন ঘণ্টা আলো দিতে সক্ষম। সেই বাল্বকেই মূলত উন্নত পর্যায়ে রূপ দিয়েছেন তারিক ও শান্তনু।
তারিক জানান, অনেক ধরণের সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে বাল্বটিকে তারা উন্নত পর্যায়ে রূপ দিয়েছে। এর মধ্যে MQ2 (গ্যাস সেন্সর), LDR (আলোর পরিমাণ নির্ণয়), PIR (তাপমাত্রা-আদ্রতা নির্ণয়ক) সহ নানা সেন্সর স্থাপন করেছে বাল্বের অভ্যন্তরে। ব্লুটুথ ও ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এই বাল্বকে।
তাদের প্রযুক্তিটি এখনও প্রাথমিকভাবে দেখানো হয়েছে। এরইমধ্যে এটি চট্টগ্রামের দুটি প্রযুক্তি মেলায় এই সৃষ্টি উপস্থাপন করা হলে বেশ সাড়া মেলে।
ইতিমধ্যে তারিকের এই প্রযুক্তিটি লুফে নিয়েছে বিএমসি। তারা তারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী বাল্বটিকে আরও উন্নতমানের ও ক্রটিমুক্ত করতে তারিকরা কাজ করবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে সব রকমের সুবিধা তারা পাবে। দু’য়েক মাসের মধ্যে বাল্বটিকে পরিপূর্ণতা দিতে পারবে বলে আশা তারিকের। প্রাথমিকভাবে এক লাখ বাল্ব বাজারে আনার জন্য চুক্তি হয়েছে।