এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে সাহস বেড়েছে কিশোরী ফুটবলারদের

কিশোর বাংলা স্পোর্টস : উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ভড়কে দিয়েছিল। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ। তাইতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে সাহস বেড়েছে কিশোরী ফুটবলারদের| নিজেদের শেষ ম্যাচে ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে চাই’ বলার সাহস পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
দুই দেশই প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। দুই দলই দুই ম্যাচে গোল খেয়েছে ১২ টি। কোনো দলই খুলতে পারেনি গোলের খাতা।
আগামীকাল রবিবারের নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে একই সমান্তরালে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এক কথায় ফিফটি ফিফটি ম্যাচ।
থাইল্যান্ডের চুনবুরিতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ৯ গোলের হার, দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানকে ৩ গোলে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। জাপানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন গোলরক্ষক মাহমুদা। প্রথম ম্যাচে বেঞ্চ গরম করা এ গোলরক্ষক জাপানের বিপক্ষে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পোস্টের নিচে। প্রথম দুই ম্যাচে ছিল গোল কম খাওয়ার লক্ষ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অন্য লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে কৃষ্ণারা। আগে কখনো যে কথাগুলো বলেনি মেয়েরা এখন তা বলার সাহস পাচ্ছেন। এ সাহসটা এসেছে আগের ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর।
ওই ম্যাচে যিনি ছিলেন বেশি আলোচনায় সেই গোলরক্ষক মাহমুদা বলেছেন, জাপানের বিপক্ষে আমরা ভালো ম্যাচ খেলেছি। যা পারিনি উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি প্রতদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমরা শেষ ম্যাচে সেরাটা দিতে প্রস্তুত।
আমি আবারও বলবো উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মতো করে খেলতে পারিনি। জাপানের বিপক্ষে পেরেছি। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতি করছি। সে ধারাবাহিকতায়ই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটা ভালো ফলাফল করতে আমরা নিজেদের উজাড় করে দোবো।
দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল। তবে আমাদের মেয়েরাও দারুণ পারফরম্যান্স করেছে জাপানের বিপক্ষে। মেয়েরা তাদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তারা ফিজিক্যালি ও মেন্টালি ভালো আছে। দলে কোনো ইনজুরি নেই। দেশের জন্য আমরা ভালো একটা রেজাল্ট আনতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *