ইটভাটায় প্রতিকুল পরিবেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: বিভিন্ন ইটভাটায় প্রতিকুল পরিবেশে শ্রম দিচ্ছে ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুরা। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত শিশুদেরকে বিভিন্ন কারখানায় নিয়োগ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ইটভাটায় শিশু শ্রমিক নিয়োগ চলছে । সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে ঝুকি পূর্ণ এসব কাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শাতধিক শিশু। কিছু অসাধু শ্রমিক সরদারের খপ্পরে পড়ে গরিব ও অসহায় পরিবার অর্থের লোভে স্কুল পড়–য়া শিশুদের ইটভাটায় পাঠাচ্ছে। এতে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে তারা।
জাতিসংঘ প্রণীত শিশু অধিকার সনদে ১৮ বছরের কম বয়সী প্রত্যেককে শিশু বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রত্যেককে শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই ১৪ বছরের মধ্যে সকলেই এ দেশের শিশু । সরকারের এক পরিসংখ্যান বিভাগের হিসেব মতে দেশের মোট শ্রমিকের ১২% শিশু শ্রমিক।
এ হিসেবে কেবল মাত্র নিবন্ধনকৃত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিশু শ্রমিকদের ধরা হয়েছে। অনিবন্ধনকৃত বা ননফরমাল সেক্টরে কর্মরত শিশু শ্রমিকদের হিসেব করলে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশের প্রচলিত আইনে শিল্প কারখানায় শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও জীবিকার প্রয়োজনে শৈশব অবস্থায় অনেক শিশুকে নানা ধরনের শ্রমে নিয়োজিত হতে হচ্ছে। ভাটায় স্কুল পড়ুয়া শিশু শ্রমিক রোদে পুড়ে প্রতিকুল পরিবেশে তাদের বাবা-মা’র সাথে ইট তৈরির কাজে করছে।
মূলত দারিদ্র্যের কারণে শিশুরা বিভিন্ন কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমে নিয়োগ করছে। আইএলও কনভেনশনের অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চেষ্টা থাকা উচিত সব ক্ষেত্রে শিশুশ্রম অবসানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি কেরানীগঞ্জের ইটভাটাসহ যেসব প্রতিষ্ঠান শিশুদের শ্রমে নিয়োগ করছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।