২১ শতাংশ জার্মান শিশু দীর্ঘমেয়াদী দারিদ্র্যের কবলে

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২১ শতাংশ জার্মান শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হচ্ছে৷ সমবয়সিদের কাছে যেটা স্বাভাবিক, সেটা এই সব শিশু বা তাদের পরিবারের কাছে দুষ্প্রাপ্য৷
জার্মানিতে যেসব শিশু দারিদ্র্য সীমার নীচে রয়েছে এমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করছে, তারা খুব সম্ভবত সেখানেই থাকবে, অর্থাৎ তাদের অবস্থার বিশেষ উন্নতি ঘটবে না৷ব্যার্টেল্সমান নিধির জরিপের এটাই সম্ভবত সবচেয়ে উদ্বেগজনক নির্ণয়৷ সমীক্ষায় পাঁচ বছর ধরে প্রায় ৩,০০০ শিশুর জীবনযাত্রার মান যাচাই করা হয়েছে৷
গবেষকরা দেখেন যে, দশ শতাংশ শিশুর অন্তত সাময়িকভাবে হলেও দারিদ্র্যের অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ কিন্তু ২১ শতাংশ শিশু স্থায়ী বা পৌনঃপুনিকভাবে দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে৷ যেসব শিশুর অন্তত দু’টি ভাইবোন আছে, একক পিতা বা মাতার তত্ত্বাবধানে মানুষ হওয়া শিশু ও অল্পশিক্ষিত অভিভাবকদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বিশেষভাবে বেশি৷
জরিপে সেই সব পরিবারকে দরিদ্র বলে গণ্য করা হয়েছে, যাঁদের আয় জার্মানিতে একটি পরিবারের গড় আয়ের ৬০ শতাংশেরও কম, অথবা যেসব পরিবার রাষ্ট্রের কাছ থেকে ভাতা পায়৷
পড়াশোনার ক্ষেত্রেও পারিবারিক পটভূমি ছাপ রাখে বলে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে৷ দীর্ঘকাল দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করেছে, এমন ছেলেমেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সম্ভাবনা কম৷ ফলে তাদের ভালো চাকুরি পাওয়ার সুযোগও কম৷ ক্ষেত্রবিশেষে এই পরিস্থিতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে৷
জরিপে যেসব দরিদ্র শিশুর কথা বলা হয়েছে, গড়ে তারা এ ধরণের সাতটি সুযেগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়৷ যারা সাময়িকভাবে দরিদ্র, তারাও প্রায় তিন-চারটি সূচকের ক্ষেত্রে কিছুই পায় না৷ জার্মানিতে বর্তমানে প্রায় ২৭ লাখ শিশু ও যুবা দারিদ্র্যে মানুষ হচ্ছে৷ এক বিবৃতিতে তার গুরুতর ফলশ্রুতির কথা বলেছেন জার্মানির শিশু সুরক্ষা সংস্থা ডিকেএসবি-র প্রেসিডেন্ট হাইনৎস হিলগার্স৷ তিনি বলেন, ‘‘যে শিশু দারিদ্র্য অভিজ্ঞতা করেছে, বাস্তবিক সমাজে তার অংশগ্রহণ করার সম্ভবনা প্রায় নেই বললেই চলে৷ বিশেষ করে স্থায়ী দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য৷”