সিংহ তাড়াতে কেনিয়ার কিশোরের অভিনব আবিষ্কার

ক্ষুধার্ত সিংহদের নিয়ে বিপাকে পড়েছিলো ১৩ বছর বয়সি কেনিয়ান কিশোর রিচার্ড টুরেরের পরিবার। পরিবারটির গবাদি পশু দিয়ে নিয়মিত উদরপূর্তি সেরে নিচ্ছিল বন্য সিংহগুলো। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশএবল জানিয়েছে, বুদ্ধিমান টুরেরের এক অভিনব পদক্ষেপে তাদের পারিবারিক খামারে এখন সিংহের হামলা বন্ধ হয়ে গেছে।

স্বল্প খরচের প্রযুক্তি ব্যবহার করে টুরেরে বানিয়েছেন ‘লায়ন লাইট’, যার বদৌলতে এখন বহাল তবিয়তে রয়েছে টুরের পরিবারের খামারের গবাদি পশুগুলো। গবাদি পশুগুলো যেখানে রাখা হয় সেখানকার বেড়ার পোলগুলোতে এলইডি লাইট বেঁধে দেন টুরেরে, আর লাইটগুলোকে ঘুরিয়ে দেন বাইরের দিকে।

লাইটগুলোকে টুরেরে এমনভাবে প্রোগ্রাম করেন যেন একজন মানুষের ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহারের মতো করে বারবার জ্বলে-নিভে লাইটগুলো। আর লাইটগুলোর সংযোগ দেন একটি সুইচ বক্স, সোলার প্যানেল এবং গাড়ির পুরনো ব্যাটারির সঙ্গে। সিস্টেমটি চালু করার পর থেকে সিংহের আক্রমণে একটিও গবাদি পশু হারায়নি টুরেরে পরিবার।

১১ বছর বয়স থেকেই খামারের গবাদি পশু দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন টুরেরে। প্রথমবার দায়িত্ব বুঝে নেবার কয়েক সপ্তাহের মাথায় ‘লায়ন লাইট’ বানিয়ে বসেন এই কিশোর। টুরেরের লায়ন লাইট নাইরোবিতে এতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, দু’বছরের মধ্যেই মোট ৭৫টি খামারে ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রযুক্তি।

টুরেরের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলেন কেনিয়া ল্যান্ড কনসারভেশন ট্রাস্টের নির্বাহী পলা কাহাম্বু এবং তার সহকর্মীরা। কাহাম্বুর সহযোগিতায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় স্কুলগুলোর একটিতে বৃত্তিতে পড়াশোনার সুযোগ পায় টুরেরে। ভবিষ্যতে একজন এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার এবং পাইলট হবার ইচ্ছে রয়েছে এই কিশোরের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *