শিশুদের শৈশব রক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থা কেমন?

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন : শিশু ও কিশোরদের শৈশবকালীন অবস্থা বিবেচনায় ১৭২টি দেশের উপর জরিপের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক শিশু-সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন `স্টোলেন চাইল্ডহুড বা চুরি হয়ে যাওয়া শৈশব` শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে `স্টোলেন চাইল্ডহুড রিপোর্ট` অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানায় সেভ দ্য চিলড্রেন। অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন তুলে ধরেন সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডাইরেক্টর ড. ইসতিয়াক মান্নান।
তিনি বলেন, ১৭২টি দেশের মধ্যে কোথায় শিশু-কিশোরদের শৈশব সবচেয়ে নিরাপদ আর কোথায় বিপদজনক বা অরক্ষিত সেই বিষয়ে বৈশ্বিক একটি সূচক প্রতিবেদনটির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এবং ভারতের পেছনে। তবে নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এগিয়ে। এই সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের মাত্র ১০টি রাষ্ট্র পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ খর্বাকায় শিশু বাস করে এর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ৪৮ দশমিক মিলিয়ন এবং দশটি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম। যেখানে ৫৫ লাখ খর্বাকায় শিশু বাস করে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে ১৫ বছরের কম বয়সী একজন মেয়ের বিয়ে হচ্ছে এবং বাংলাদেশে ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ের শতকরা হার ৪৪ শতাংশ। বিশ্বে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন বা তারও বেশি শিশুর শৈশব নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ার্স বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, বৈশ্বিক বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ উন্নত সাধন করলেও এখনও অনেক শিশু অসুখে মারা যাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে শিশুরা তাদের স্বাভাবিক শৈশব হারাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালে সারা বিশ্বে একত্রিত হয়ে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল যে, ২০৩০ সালের মধ্যে সব শিশুই স্থান-কাল নির্বিশেষে বিদ্যালয়ে যাবে, নিরাপদে থাকবে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। এটি উচ্চভিলাষী হলেও অসম্ভব নয়, যদি সরকার শিশুদের শৈশব রক্ষায় জন্য বিনিয়োগ বরাদ্দ নিশ্চিত করে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের ক্যাম্পেইন অ্যাডভাইজর টনি মিকাইলসহ অন্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *