শিশুদের প্রতি নবীজীর মমতা
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: শিশুদের প্রতি নবীজীর মমতা ছিল অনেক। নবীজী শিশুদের অনেক ভালবাসতেন, অনেক আদর করতেন। তিনি শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন, কোলে তুলে নিতেন। তাদের জন্য দুআ করতেন। শিশুরাও নবীজীকে অনেক আপন মনে করত।
নবীজী নিজে যেমন শিশুদের আদর করতেন, তার উম্মতকেও বলে গেছেন- শিশুদের আদর করতে। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাতি হাসানকে চুমু খেলেন। সেখানে আকরা ইবনে হাবিস নামে এক সাহাবী বসা ছিলেন। হাসানকে চুমু খাওয়া দেখে তিনি বললেন, আমার দশটি সন্তান রয়েছে। আমি তাদের কাউকে চুমু খাইনি। নবীজী তার দিকে তাকিয়ে বললেন, যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হবে না।
অন্য এক হাদীসে আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, একবার এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হল। লোকটির সাথে একটি শিশুও ছিল। নবীজী লোকটিকে বললেন, তুমি কি এই শিশুর প্রতি দয়া কর? সে বলল, হাঁ। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এই শিশুর প্রতি তুমি যতটুকু দয়া করবে তারচে বেশি আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করবেন। তিনি দয়ালুর মধ্যে সবচে বড় দয়ালু।
তাহলে এ হাদীসগুলো থেকে আমরা জানতে পারলাম, যারা শিশুদের প্রতি দয়া করবে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি আরো বেশি দয়া করবেন। আর যারা শিশুদের প্রতি দয়া করবে না আল্লাহও তাদের প্রতি দয়া করবেন না। সুতরাং আমার চেয়ে যে ছোট তার সাথে আমাকে দয়া করতে হবে, তাহলে আল্লাহ আমার প্রতি দয়া করবেন। আমার ছোট ভাই-বোনদের প্রতি যদি আমি দয়া করি; তাদেরকে আদর করি, তাদেরকে না মারি, তাহলে আল্লাহ আমার প্রতি দয়া করবেন।
আমাদের ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও কিন্তু আরো ছোট মানুষ আমাদের বাসায় থাকে। যেমন ছোট কাজের মেয়ে বা কাজের মানুষের ছোট সন্তান। আমরা কিন্তু অনেক সময় তাদের সাথে খারাপ আচরণ করি, তাদের গায়ে হাত তুলি। অথচ নবীজী বলেছেন, যে ছোটর প্রতি দয়া করে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং আর কখনো এমনটি করবে না।
মনে রাখতে হবে আমার যারা বড় তাদের সম্মান করব। আর আমার থেকে যারা ছোট তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করব, আদর করব। আর নবীজী যেমন আমাদের ভালোবাসতেন আমরাও নবীজীকে ভালোবাসবো, নবীজীর সুন্নতকে ভালোবাসবো।

