বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর স্কুল টিফিন

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর স্কুল টিফিন বাসা থেকেই তৈরি করে দিতে হয় বাচ্চাদের স্কুলের খাবার নিয়ে মায়েদের টেনশন প্রতিদিনের রুটিন বাঁধা কাজ। স্কুলের ক্যান্টিনের ভাজা পোড়া সেসব সিঙ্গারা, সমুচা কিংবা পিজ্জা, বার্গারের উপর রোজ তো আর ভরসা করা যায়না। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাই বাসা থেকেই তৈরি করে দিতে হয় খাবার।
বাসায় ঠিকঠাক নাস্তা করে গেলে দুই তিন পদের ফল দিয়েও টিফিনের কাজটি সেরে ফেলা যায় একদিন। স্যান্ডউইচ একটি বেশ মুখরোচক টিফিন আইটেম। মুরগী, মেয়োনিজ আর পাউরুটি দিয়ে এই খাবারটি তৈরি করা যায় সহজেই। নুডুলস কিংবা পাস্তা আইটেম করে দেওয়া যেতে পারে আপনার বাচ্চার টিফিনের জন্য।
পাউরুটির সাথে কলা, কিংবা জ্যাম-জেলি যদি আপনার সন্তানের প্রিয় হয় তাহলে তো কথাই নেই। স্বাদের ভিন্নতার জন্য নিউটেলা, বাটার এসবও ট্রাই করে দেখতে পারেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে জার্মানির মতো শিল্পোন্নত দেশেও অনেক বাচ্চা অস্বাস্থ্যকর নাস্তা খেয়ে বা একেবারে না খেয়েই স্কুলে আসে৷ তাই শিশু-কিশোরদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে জার্মানির ৮টি রাজ্য একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে৷ এক্ষেত্রে তারা ১৮ মিলিয়ন ইউরো ধার্য করেছে৷ তাদের আশা, তাজা শাকসবজি, ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে চিপসের বদলে আপেলের দিকেই হাত বাড়াবে বাচ্চারা৷ আর এর ফলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে খরচ কম পড়বে৷
শুধু জ্ঞানের অভাবই নয়, দারিদ্র্যের কারণেও অনেক পরিবারে ছেলে-মেয়েরা স্বাস্থ্যকর খাবার পায় না আমাদের দেশে৷ স্কুলের বহু শিশু দরিদ্র ও অভিবাসী পরিবার থেকে এসেছে৷ তারা বাসায় তেমন স্বাস্থ্যকর খাবার পায় না৷
বাড়ন্ত বয়সের শিশু-কিশোররা স্কুলে দিনের একটা বড় সময় কাটায়। সে জন্য স্কুলগামী শিশুদের টিফিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টিফিন দেওয়ার সময় সবার আগে যে বিষয়টা লক্ষ রাখতে হবে, সেটা হচ্ছে বাচ্চার স্কুলের সময়সূচি। অর্থাৎ যে খাবার আপনি আপনার সোনামণিকে দিচ্ছেন, সেটা সে কখন খাবে তার ওপরও শিশুর স্বাস্থ্য নির্ভর করে।
যেমন যদি আপনার শিশু সকালের শিফটে পড়ে থাকে তাহলে টিফিন হিসেবে যে মানের খাবার দেওয়া যাবে দুপুরের শিফটে পড়–য়া স্কুলগাশী শিশুদের টিফিন স্বাভাবিকভাবেই এর চেয়ে ভিন্ন ধরনের হবে। এ ক্ষেত্রে সকালে হয়তো হালকা নাশতা জাতীয় বা মুখরোচক কিছু টিফিন হিসেবে দেওয়া গেলেও দুপুরবেলা খাওয়ার জন্য অপেক্ষাকৃত পুষ্টিকর ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার দিয়ে দেওয়া অধিক উত্তম।