বই উৎসব হোক পথশিশুদের

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: স্বাধীনতা লাভের ৪৬ বছর পরেও যদি অনাথ, ছিন্নমূল কিংবা পথশিশুদের সঠিক পরিচর্যা না করা হয়, তাহলে সমাজ উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ নববর্ষের প্রথম দিনেই সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেওয়া হবে।
জীবিকার তাগিদে যেসব শিশু শ্রমিক হয়ে কাজ করছে কিংবা ছিন্নমূলের তকমা লাগিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের কি আমরা হিসেবে রেখেছি? একজন শ্রমিক তার সন্তানকে নিয়ে ভাবে কিন্তু পথশিশুকে নিয়ে কেউ ভাবে না।
প্রতিটি শিশুর জন্মগত মৌলিক অধিকার শিক্ষা। আর এই শিক্ষাই যদি তাকে দিতে না পারি তাহলে আমরা কতটা সফল তা কি নির্ণয় করতে পারব? অপরাধের কালো দুনিয়ায় যাদের আনাগোনা তারা এই ছিন্নমূল শিশুদের একটা বড় অংশ। স্বাধীনতা লাভের ৪৬ বছর পরেও যদি অনাথ, ছিন্নমূল কিংবা পথশিশুদেরকে সঠিক পরিচর্যা না করা হয়, তাহলে অপরাধ বাড়বে বৈ কমবে না।
সুতরাং রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে এসব ছিন্নমূল পথশিশুদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে। বই উৎসব সফল করতে হলে শতভাগ শিশুকে বই দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, পথশিশুদের মূল ধারায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা নিন।
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে পথশিশুরা চোখের সমস্যা ও মাথাব্যাথা’সহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই পথশিশুদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে অত্যন্ত জরুরী।
পথশিশুদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটুখানি হাত বাড়িয়ে দিলেই হবে। সবার একটু একটু প্রচেষ্টায় এই পথশিশুরা একদিন সত্যি রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়বে।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের অধিকার দিয়ে তাদের আলোর পথে আনতে বিবেকবোধসম্পন্ন নাগরিকদের মানবিকতার উন্মেষ ঘটাতে হবে।