কুমন: শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা পদ্ধতি
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা পদ্ধতি কুমন শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাক।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাসায় বাংলাদেশের প্রথম ‘কুমন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় শিশুদের শিক্ষা আনন্দময় করতে এই‘কুমন শিক্ষা পদ্ধতি উদ্ভব হয়। এক সময় আমার স্বপ্ন ছিলো, আমেরিকায়, কানাডা, সুইডেন, জাপানসহ উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের শিশুরাও কুমন পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করবে।
আজ সেই স্বপ্ন পূরণের দিন। আজ প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে কুমন সেন্টার যাত্রা শুরু করল। এখন বাংলাদেশের শিশুরাও কুমন পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে- আনন্দটা আমার এখানেই- বলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারে ব্র্যাক শুরু থেকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে এগিয়েছে। প্রাইমারি এডুকেশন অর্থাৎ ব্র্যাক প্রাথমিক স্কুল সারা দেশে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আশা করছি, এই কুমন শিক্ষা পদ্ধতি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের শিশুরাও উন্নত বিশ্বের শিক্ষা পদ্ধতিতের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমন এশিয়া ও ওশেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আতসুশি ইয়ামাদা বলেন, ব্যতিক্রমধর্মী কুমন শিক্ষা পদ্ধতি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এনজি বাংলাদেশের গর্ব ব্র্যাক কুমন শিক্ষা বাংলাদেশে রিপ্রেজন্ট করছে- এটা সত্যিই আনন্দের। আমি কুমন শিক্ষা বাংলাদেশের সাফল্য কামনা করছি।
জাপানের রিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিয়োশি কাশাহারা বলেন, গণিতে শিশুর মেধা ও সামর্থ বিকাশে ব্যতিক্রমধর্মী কুমন শিক্ষা পদ্ধতি একটা অন্যতম ব্যবস্থা। এই পদ্ধতিতে শিশুর মেধা বিকাশ একদিকে যেমন দ্রুততার সঙ্গে হয়, অন্যদিকে সেটি সাসটেইনেবলও হয়। বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালুর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাংগুয়েজ (বিআইএল) এর পরিচালক সৈয়দা সারওয়াত আবেদ, জাপানের মন্ত্রী তাকেশি ইটো, ব্র্যাক কুমন প্রকল্পের ইনচার্জ নেহাল বিন হাসান, কুমন চিলড্রেনের অভিভাবক উইতাকারান প্রমুখ।

