কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শেষ সীমানার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত খাস পারইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে শুধু কক্ষের সংকটই নয়, কমলমতি শিক্ষার্থীদের বসার জন্য নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ বেঞ্চ, কক্ষে নেই বৈদ্যুতিক ফ্যান। এ রকম নানা সমস্যায় জর্জড়িত এই বিদ্যালয়টি। তবুও থেমে নেই কার্যক্রম। প্রত্যন্ত এই এলাকার অবহেলিত শিশুদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়টি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। কক্ষ সংকটের কারণে বারান্দায় পাঠদান করানো হয় বিদ্যালয়ে আসা কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পারইল ইউনিয়নের পারইল গ্রামে অবস্থিত খাস পারইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এই প্রত্যন্ত এলাকার শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষিত মানুষ নিজেদের অর্থে ৩৩ শতাংশ জমি কিনে স্থাপন করেন বিদ্যালয়টি। ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি রেজিষ্ট্রার্ড থেকে সরকারি করা হলেও এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। নেই আধুনিক মানসম্মত ভবন। চরম শ্রেণী সংকটের কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিশুদের বিদ্যালয়ের বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন।
দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ করা একতলা একটি ভবনে রয়েছে শুধুমাত্র ৩টি কক্ষ। অথচ প্রতিদিন এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫৬ জন শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ করে। আর ভবনের সিঁড়ি কক্ষ অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করছেন শিক্ষকরা। তাই বাধ্য হয়েই দুই শিফটে পাঠদান করান শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে ছিলো না বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ পাওয়ার পর অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা নিজেদের অর্থ দিয়ে কয়েকটি ফ্যান কিনলেও এখনো রয়েছে ফ্যানের সংকট। প্রতিটি কক্ষে ৪টি করে ফ্যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১টি কিংবা ২টি। তাই প্রচন্ড গরমে গাদাগাদি করে শিশুদের পাঠগ্রহণ করতে হয়।
অপরদিকে, প্রতিবছর বিদ্যালয়ের পিএসসি ফলাফল শত ভাগ। বিগত সময়ে এই বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছে অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা।