কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: নিজ উদ্যোগ, সহপাঠী-শিক্ষক ও কিশোরী ক্লাবের সহায়তা এবং পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছয় জেলায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে সাত কিশোরী। গত সপ্তাহে এসব বাল্যবিবাহ বন্ধের ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির (১৪) এক স্কুলছাত্রী শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে নিজের বাল্যবিবাহ রুখে দিয়েছে। চরপার্বতী ইউনিয়নের একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফেনীর সোনাগাজীতে দুই স্কুলছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে আমিরাবাদ ইউনিয়নের এক যুবকের বিয়ের ক্ষণ ধার্য হয় সোমবার দুপুরে। খবর পেয়ে ইউএনও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আলাউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. সোহাগ হোসেনের হস্তক্ষেপে গতকাল দুপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) বিয়ে বন্ধ হয়েছে। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার বলেন, গোপন খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় কনেবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখন বরযাত্রীরা পালিয়ে যান। বাড়ি থেকে কনে ও তার বাবাকে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে এনে নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার একটি গ্রামে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪)। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক সমস্যা ও অর্থসংকটে এবার জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে না মেয়েটি। সোমবার সন্ধ্যায় তার সঙ্গে একই গ্রামের এক যুবকের (২৫) বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে ওসি মো. কুতুব উদ্দিন বিয়ে বন্ধে সহকারী উপপরিদর্শক মো. হাসেমকে নির্দেশ দেন।
ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়ন কিশোরী ক্লাবের দলনেতা মো. সুমী ও প্রশাসনের চেষ্টায় গতকাল দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নের একটি গ্রামে সোমবার রাতে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৫)।