হাতে মোবাইল, কথা শিখছে না শিশু
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: কোনো মতে দুইটা শব্দ উচ্চারণ করতে পারত সে। ‘বাবা’ আর ‘মাম্মা’। আড়াই বছর বয়সেও যখন আর কথা ফুটল না, সবসময়ে ঘাড় গুঁজে বসে থাকাটাই স্বভাবে পরিণত হল, বাবা-মা ছুটলেন ডাক্তারের কাছে।
তাহলে কি আমাদের সন্তান অটিস্টিক? কেন ও কথা বলে না? কেন চোখের দিকে তাকায় না? গেলেন স্পিচ থেরাপিস্টের কাছেও। বাচ্চাটাকে কথা বলতে শেখাতে হবে তো!
ডাক্তার দেখলেন। সময় নিলেন। তারপর জানালেন, চিকিৎসা একটাই এবং তা দীর্ঘ। শিশুটির জীবন থেকে ‘স্ক্রিন টাইম’ (বেশিরভাগ সময় মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটার বা টিভির দিকে তাকিয়ে থাকা) আপাতত পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। অনর্গল কথা বলতে হবে ওর সঙ্গে। তবেই কথা বলতে শিখবে ও।
সাম্প্রতিক এক বেসরকারি সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে ইদানিং দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ভিড়ই বেশি। শিশু কথা বলতে পারছে না। কারণ, বাড়িতে কেউ তার সঙ্গে কথা বলছে না। তার হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে মোবাইল কিংবা ট্যাব। ব্যস্ত বাবা-মাকে সন্তানের হাজারও বায়না সামলাতে হচ্ছে না। এমনকি তাকে খাওয়ানোর ঝক্কি উধাও। হাতে ট্যাব ধরালে নিমেষে শেষ হচ্ছে মুখের গ্রাস।