স্কুল বিতর্কে শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি সেলিনা

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সম্মানজনক ‘ইটন বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ স্কুল বিতার্কিকের পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেলিনা বেগম। মেধা এবং যুক্তি দিয়ে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা বিভিন্ন স্কুলের ২০০ প্রতিযোগীকে হারিয়ে এ পুরস্কার জিতে নিয়েছে ওই শিক্ষার্থী।
যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে এ স্কুল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সেলিনা বেগমের মা-বাবা ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হন।
১৬ বছর বয়সী সেলিনা বেগম জাঙ্ক ফুড, গোপনীয়তার অধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড বিলোপের মতো বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। শ্রেষ্ঠ এ বিতার্কিক লন্ডনের নিউহ্যাম কলেজিয়েট সিক্সথ ফর্ম সেন্টারের শিক্ষার্থী।
এ মাসের গোড়ার দিকে সে এ প্রতিষ্ঠান থেকে তিন সহপাঠীকে নিয়ে বিশ্বখ্যাত ইটন কলেজে আয়োজিত বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ওই প্রতিযোগিতায় তার ক্ষুরধার যুক্তি মুগ্ধ করে বিচারক প্যানেলের সদস্যদের। ধারালো বক্তৃতা এবং বিতর্কে পারদর্শিতার স্বীকৃতিস্বরূপ সেরা বক্তা হিসেবে ছয়জনকে বেছে নেওয়া হয়।
এই ছয়জনের একজন হলো লন্ডনের মেনর পার্ক এলাকায় বেড়ে ওঠা সেলিনা। এ ছাড়া এককভাবে সেরা বিতার্কিকের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সেলিনা বেগমের হাতে। ইটন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেলিনা বেগমের জয়ী হওয়ার খবর বেশ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোয়।
সেলিনা বেগম বলেন, এটি ছিল একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিতর্ক। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিযোগিতায় অন্যদের ছেয়ে আমাদের ভালো করতে হবে। এই উচ্চাভিলাষ নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে এটা ছিল আমাদের আত্মবিশ্বাস।
নিজের সাফল্যের জন্য মা-বাবাকে ধন্যবাদ জানান সেলিনা বেগম। কষ্টকর হলেও নিজের স্বপ্নের পথে পা বাড়াতে তারা তাকে উৎসাহিত করেছেন। লন্ডনের মেনর পার্ক এলাকায় তার চলৎশক্তিহীন বাবার  পেছনেই দিনের অধিকাংশ সময় কাটে তার মায়ের।
সেলিনা বেগম বলেন, মা-বাবার সবসময় আমাকে নিয়ে উচ্চাভিলাষ কাজ করে। আমার কলেজে যাওয়া বা পড়াশুনার ব্যাপারে সেভাবে খোঁজ নেওয়ার সুযোগ তাদের নেই। তবে সবসময়ই তারা আমার পাশে রয়েছেন।
ভবিষ্যতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা করতে চান সেলিনা বেগম। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি।