স্কুলের রিপোর্ট কার্ড শিশু নির্যাতন বাড়ায়!
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট কার্ড দেয়া হলে শনিবার শিশুদের উপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যায়৷
এসব নির্যাতিত শিশুর দেহে ভয়াবহ নির্যাতনের ছাপ দেখা গেছে৷ যেমন, হাড় ভাঙা, আগুনের ছ্যাঁকা দেয়া ইত্যাদি৷ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী মেলিসা ব্রাইট বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, স্কুলে যেসব শিশু ভালো ফলাফল করে না, তাদের বাবা-মা তাদের কঠোর শাস্তি দেয়৷”
চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘জামা পেডিয়াট্রিক্স’৷ সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ফ্লোরিডার ৬৭ কাউন্টিতে স্কুলের রিপোর্ট কার্ড দেয়ার পর শিশুদের শারীরিক নির্যাতনের ২০০০টি ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে৷ ঘটনাগুলো স্কুল কর্তৃপক্ষকে হটলাইনে ফোন করে জানানো হয়েছিল৷ নির্যাতিত শিশুদের বয়স ৫ থেকে ১১ বছরের মধ্যে৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার যদি রিপোর্ট কার্ড দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে শনিবারে শারীরিক নির্যাতনের হার প্রতি এক লাখ শিশুর মধ্যে শতকরা দশমিক ৬ ভাগ৷ অন্যদিনগুলোতে নির্যাতনের হার দশমিক ২ ভাগ৷
ফ্লোরিডায় স্কুলে যায় ৩০ লাখ শিশু৷ গবেষকরা বলছেন, যে শিশুরা ভালো গ্রেড পেয়েছে, তারাও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে৷ কারণ, বাবা-মা ধরে নিয়েছে পরের দিন রবিবার৷ তাই স্কুলে গিয়ে সে কাউকে জানাবে না বা শরীরের দাগ দেখা যাবে না৷ গবেষকরা অবশ্য বলছেন, ৯০-এর দশকের তুলনায় বর্তমানে এই নির্যাতনের হার অনেক কম৷
বস্টনের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রবার্ট সেগে মনে করেন, যদি রিপোর্ট কার্ড দেয়ার দিনটি পরিবর্তন করা হয়, তবে হয়ত শিশু নির্যাতনের ঘটনা কমবে৷