সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি ও মানসিক অসুস্থতা

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: টিনএজারদের অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি বাড়িয়ে তুলছে মানসিক অসুস্থতা। এমনটাই দাবি করেছে নয়া এক গবেষণা। দিনরাত ফেসবুকের মত সাইটগুলো নিয়ে মত্ত থাকার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, মানসিক অবসাদ।
টুইটার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যে কিশোর-কিশোরীরা দিনে গড়ে দু’ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করে তাদেরই মানসিক অসুস্থতার সম্ভাবনা দিনে দিনে প্রবল হচ্ছে।
ক্লাস সেভেন থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত পড়ুয়াদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। ওন্টারিও স্টুডেন্ট ড্রাগ ইউস অ্যান্ড হেলথ সার্ভে অনুযায়ী ২৫% পড়ুয়ারাই দিনে দু’ঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর সঙ্গে কাটায়।
সাইবার সাইকোলজি, বেহাভিয়র অ্যান্ড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং নামক জার্নালে এই গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে পৃথিবীর ৪৪.২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। ধারণা করা হয়, ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক লোক ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আসবে। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১৬ সালের আগস্টে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সোয়া চার কোটি। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়েছে।
প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে, যেটা বাংলাদেশের জন্মহারের চেয়েও বেশি। বর্তমানে ইন্টারনেটে মোট ২০ কোটির অধিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পাঁচ কোটি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট রয়েছে। এই ভয়ংকর থাবার বিস্তার থেকে আমাদের তরুণ সমাজের মুক্তি এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে খ্যাত ওয়েবসাইটগুলো দেশের তরুণ সমাজকে অন্ধকারের দিকেই ধাবিত করছে।
অবাধ তথ্য প্রযুক্তির যুগে কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজের বড় একটি অংশ আশঙ্কাজনকভাবে জড়িয়ে পড়ছে নানা সাইবার ক্রাইমে। সাইবার ক্রাইম থেকে পরবর্তীতে ঘটছে নানা ধরনের বড় বড় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অনেক উচ্চ ও মধ্যবিত্তের সন্তান অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেও কিশোর অপরাধীদের সিংগভাগই হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের সন্তান।