সিরিয়ার পাতাল স্কুল
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে সেই ২০১১ সাল থেকে। বহু শহর গুঁড়িয়ে গিয়েছে, মারা পড়েছে অনেক মানুষ। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়া গুহাকেন্দ্রিক স্কুলে পড়ানো হয় ইংরেজি, আরবি, গণিত, সামাজিক আর ধর্ম শিক্ষা।
গৌতায়ও পড়ালেখা হয়েছে এমন পাতাল বা গুহা স্কুলে। বিশেষ করে গৌতার দুমা শহরের শিক্ষকরা এই যুদ্ধের আতঙ্কের মধ্যেও বাসার ভূগর্ভস্থ কক্ষে শিক্ষা দান শুরু করে দেন।
গণিত শিক্ষা, ছবি আঁকাসহ নানা দরকারি বিষয়গুলো এখানে শেখানো হয়। সরকারি আর রুশ বিমানের নিরন্তর হামলায় দুমা শহরের ৩১টি স্কুলের মধ্যে ২১টিই যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে! দুমা শহরে এমন ৪৮টি ভূগর্ভস্থ স্কুল আছে, এগুলোতে পড়ছে অন্তত তিন হাজার ৫০০ ছাত্র–ছাত্রী।
দুর্গন্ধ আর ধ্বংসস্তূপ, বিমান হামলার আশঙ্কা, বইপত্রের অভাব আর মৃত্যুর আশঙ্কা মাথায় নিয়েই পড়াশোনা চলে, অন্ধকার ঘনিয়ে এলে ব্যবহার করা হয় ব্যাটারিচালিত বাতি। পড়াশোনার সিলেবাস কিন্তু সিরিয়ার সরকারি সিলেবাস থেকে অনেকটাই আলাদা। বিমান হামলায় স্কুলছাত্রদের মৃত্যুও এখানে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।