কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়মের কড়াকড়ির মধ্যে সারা দেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যাতে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছে।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যানজটের ঝক্কি সামলে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে হাজির হয়ে আসনে বসতে হয়েছে সাড়ে ৯টার মধ্যে।
প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি ল্যাবরেটরি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবার জানুয়ারির শেষ দিক থেকে এসএসসি পরীক্ষার পুরোটা সময় দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া সবার ক্ষেত্রে মোবাইল বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবারও আছে। কেন্দ্র সচিবকেও এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেন্দ্র সচিবের অনুমতি ছাড়া পরীক্ষার্থীর বাইরে অন্য কেউ কেন্দ্রের সীমানায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
এবার মাধ্যমিকে সব বোর্ডের পরীক্ষা হচ্ছে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে এবং শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে।