শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: শিশুর ত্বকের যত্নের ব্যাপারে মায়ের ভূমিকাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। মায়েরা যদি কিছু কিছু বিষয়ে সচেতন হোন, তবে অনেক চর্মরোগই প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয় শিশুর বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধে নিঃসন্দেহে সহায়ক:
শিশুকে প্রতিদিনই গোসল করানো ভালো। তবে সাবান ও শ্যাম্পু প্রতিদিন ব্যবহার না করলেও চলে। পানি যেন অবশ্যই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, গোসল শেষে নরম শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে পানি মুছে ফেলতে হবে, যাতে কোনো স্থানে, বিশেষ করে শরীরের ভাঁজগুলোতে পানি লেগে না থাকে। কারণ, এথেকে ছত্রাকজাতীয় জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
গরমের দিন যন্ত্রণাদায়ক ঘামাচি এবং শীতের দিন শুষ্কতার কারণে শিশুর ত্বক ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি। তাই গরমের দিন বেবি ট্যালকম পাউডার এবং শীতের দিন তেল বা লোশন জাতীয় জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত।
শিশু প্রস্রাব–পায়খানা করার পর যত শিগগিরই সম্ভব ভেজা ন্যাপকিন বদলে ফেলা উচিত।
শিশুর ত্বকে অ্যান্টিসেপটিক ও কসমেটিকস–জাতীয় কোনো মলম যখন–তখন না লাগানোই ভালো। কারণ, এতে শিশুর নরম ত্বকে অনেক সময় এগুলো সহ্য হয় না এবং সমস্যা সৃষ্টি হয়।
কাদামাটি, ধুলাবালি ও কড়ারোদ থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। শিশুর ত্বকে কোনো সমস্যা দেখা দিলে কখনো অবহেলা করবেন না। কারণ, শিশুদের খুব ছোট্ট রোগও অনেক সময় অল্পতেই মারাত্মক আকার ধারণ করে।