শিশু বান্ধব শিখন প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার গুনগত মান

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: সাধারনত, যেসব স্কুলগুলোতে, শিশুদের জন্য আনন্দঘন ও আকর্ষনীয় পরিবেশ বিদ্যমান, শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত থাকে সেইসাথে ভয়ভীতিহীন শিক্ষাব্যবস্থা ও সহ শিক্ষা কার্যক্রম বিদ্যমান থাকে সেসব স্কুলগুলোকেই শিশু বান্ধব স্কুল হিসেবে ধরে নেয়া যায়।
তেমনই একটি স্কুল সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ২নং সমেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঢুকতেই যে কারো চোখে পড়বে বিশাল দেয়ালে সাত বীর শ্রেষ্ঠদের আকা রঙিন ছবি। যা শিশু মনে প্রাণের সঞ্চার করে। রয়েছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। দ্বিতল বিশিষ্ট এ স্কুলের সামনে শোভা বর্ধন করে রয়েছে ফুলের বাগান। পাশেই রয়েছে শিশুদের খেলাধূলার জন্য স্লিপার, দোলনা। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলটিতে একসময় ছিলো শুধুই নিরবতা। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ছিলো খুবই নগন্য।
ঝড়ে পড়া শিক্ষাথীর সংখ্যা ছিলো উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে শিক্ষাথী উপস্থিতি শতভাগ। শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত স্কুলটি। ৮জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত ৭টি শ্রেনীকক্ষে বর্তমানে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩৬৬টি জন। সরকারের নানামুখি উদ্যোগের অংশ হিসেবে চলা এ কার্যক্রমের সহযোগিতায় রয়েছে শিশু উন্নয়ন তহবিল ইউনিসেফ।
সারাদেশের ৮টি বিভাগে শিশুবান্ধব স্কুল রয়েছে ১০৪০টি। প্রতিটি স্কুলেই ইউনিসেফের পরামর্শ অনুযায়ী চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে কমছে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
শিশু বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক ও কৌশলগত সহযোগিতা দিচ্ছে ইউনিসেফ। স্কুলের শিক্ষকদের জন্য রয়েছে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থ্ওা। স্কুল হলো সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্র। তাইতো শিশুদের পড়াশুনাকে আনন্দপূর্ন ভীতিহীন করতে শিক্ষাথীদের কোন শারিরিক বা মানসিক শাস্তি দেয়া হয় না। এতে পরিপূর্ন ভাবে বিকশিত হচ্ছে শিক্ষাথীরা।
ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে ২০টি জেলার ৩৩৩টি স্কুলে এভাবে পাঠদান চলছে। শিক্ষাথীদের জন্য রয়েছে বির্তক, গান চিত্রাংকন, ফুটবল ক্রিকেট, হাতের লেখা সহ অনেক প্রতিযোগিতা। একবার অংশ নিয়ে যে পুরষ্কার জিতে নিচ্ছে। আরেকবার অন্যজন সুযোগ পাচ্ছে। এভাবে পালাক্রমে চলছে কার্যক্রম। এতে করে কেউ কাউকে দুর্বল ভাবছে না।