শিশু পার্কে অনিয়ম

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: সরকার নির্ধারিত মূল্যের টিকেট ছাড়াই কিছু কম ফি দিয়ে ঢাকা শিশু পার্কে প্রবেশ করছে প্রচুর দর্শনার্থী। কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে পার্কের কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী বের হবার ফটক দিয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ করিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। জোড়াতালি দিয়ে সচল রাখা মেয়াদোত্তীর্ণ খেলনা নিয়ে পরিচালিত হওয়া পার্কটিতে বছরের পর বছর ধরে এমন নানা অব্যবস্থাপনা থাকলেও সেদিকে কর্তৃপক্ষের কোনো দৃষ্টি নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯৭৯ সালে ‘শহীদ জিয়া শিশু পার্ক’ নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম শিশু পার্কটি পরিপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে ১৯৮৩ সাল থেকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে থাকা ঢাকার সবচেয়ে প্রাচীন এ পার্কটিতে প্রতিদিন গড়ে হাজারের বেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করে, যা বিভিন্ন উৎসবে বেড়ে কয়েক গুণ হয়ে যায়।
পার্কের ভেতরে যত্রতত্র হকার। পার্কের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সামনেই হকারদের বাদাম, চানাচুর, ঝালমুড়ি বিক্রি করতে দেখা যায়। ডিএসসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে অর্থ-চুক্তি করেই তারা পার্কে জিনিসপত্র বিক্রি করেন বলে জানান হকারদের একজন।
শিশু পার্কের অভ্যন্তরে ১৫টি বৈধ দোকান বরাদ্দ দিয়েছে ডিএসসিসি। সেসব দোকানের জন্য জায়গা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু ওইসব দোকান মালিকরা নির্ধারিত সীমানার বাইরে খোলা জায়গা দখল করে ছাতার নিচে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে খাবার পরিবেশন করায় খোলা জায়গা কমে যাওয়ায় দর্শনার্থীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
শিশু পার্কের যেখানে সেখানে রয়েছে ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, পার্কের আঙ্গিনা পরিষ্কারের জন্য ১১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকলেও দায়িত্বরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রুটিন অনুযায়ী পার্ক পরিষ্কার করেন না। শিশু পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তদারকির যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মী জানান।