শিশু-কিশোরদের নিয়ে নতুন ধারাবাহিক ‘হ্যাপী লজ’

কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী টিভিতে প্রচার শুরু হতে যাচ্ছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘হ্যাপী লজ’। আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নাটকটির প্রথম পর্ব প্রচারিত হবে। সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার একই সময়ে নাটকটি সম্প্রচারিত হবে।

নাটকের কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আলমগীর কবির। পরিচালনা করেছেন সাঈদ রিংকু। নবাগত একঝাঁক শিশু-কিশোর ছাড়াও এ নাটকে অভিনয় করেছেন- ইন্তেখাব দিনার, সুষমা সরকার, অলিভি, সৌজন্য অধিকারী, আলমগীর কবির, কামাল বায়েজিদ, সুভাশীষ ভৌমিক, শতদল বড়ুয়া বিলু, জাহাঙ্গীর, রিয়াজ প্রমুখ।

নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক সাঈদ রিংকু জানান, একটি বাড়ির নাম হ্যাপী লজ। এ বাড়ির মানুষজন ইসলাম খাঁর বংশধর। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষ কেউ একজন ইসলাম খাঁর আমলের সেনাপতি ছিলেন। এ পরিবারের শেষ বংশধর পিন্টু। তার পুরো নাম মির্জা আসাদুল্লাহ সবুক্তগিন আল সিরাজ। পিন্টুর এমন নাম নিয়ে স্কুলের সহপাঠীরা নানা ঠাট্টা, তামাশা করে। শিক্ষকরাও তার দিকে অবাক চোখে তাকায়। পিন্টুর এমন আজব নাম রেখেছেন তার নানাজান। পিন্টুর স্কুল শিক্ষক পিতা হাসানুল ইসলাম সহজ-সরল মানুষ। মা জুবাইদা একেবারেই সাদাসিদে। সবমিলিয়ে তারা হ্যাপী লজের, হ্যাপি ফ্যামিলি।

তাদের সঙ্গে থাকে পিন্টুর মামা আসগর আলী। ডাক নাম ইফতি। সেও তার নাম নিয়ে সুখী নয়। তার যত সব উদ্ভট বিষয়ে আগ্রহ। পড়ালেখা শেষ করে চাকরি বাকরি খুঁজছে। ইদানীং সংগীতের আদি উৎস ও বিকাশ নিয়ে গবেষণা করছে। নানা বিষয় নিয়ে মাঝে-মধ্যেই শুরু হয় মামা ভাগ্নের দ্বন্দ্ব। হঠাৎ একদিন পিন্টুদের বাড়িতে এসে হাজির হন এক আজব মানুষ। নাম সলিমুল্লাহ খান। বয়স বছর পঞ্চাশেক। সম্পর্কে পিন্টুর মায়ের চাচা। দীর্ঘদিন ওমান ছিলেন। এখন স্থায়ীভাবে দেশে ফিরেছেন। নতুন অতিথি পেয়ে পিন্টুও বেশ খুশি। তার সঙ্গে নানা গল্পে তার সময় কাটে। তিনি আবার গণক। হাত দেখে অবলীলায় বাড়ির সবার ভবিষ্যৎ বলে দেন।

তবে পিন্টুর মামা তার ওপর দারুণ নাখোশ। কারণ তার হাত দেখে তিনি বলেছেন—সে নাকি জীবনে কিছুই করতে পারবে না। যে কাজই করতে যাবেন তাতেই ধ্বংস অনিবার্য। এ নিয়ে একবুক ক্ষোভ, রাগ আর মনঃকষ্ট রয়েছে তার। এরই মধ্যে এক দুর্ঘটনায় পিন্টুর বাবার হাত ভেঙে যায়। তখন সলিমুল্লাহ খান গম্ভীরভাবে বলেন—বিষয়টি তিনি আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। বাড়ির সবাই ভয় পাবে বলে কাউকে কিছু বলেননি। বাড়িটিতে এক অশুভ ছায়ার চোখ পড়েছে। এমন নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে নাটকটির কাহিনি এগিয়েছে বলে জানান এই নির্মাতা।

ধারাবাহিক এ নাটক প্রসঙ্গে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এদের মধ্য থেকেই তো কেউ কেউ দেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই তাদের মনন ও মেধা বিকাশে সবার এগিয়ে আসা উচিৎ। নির্মল বিনোদনের মাধ্যমে শিশুরা যাতে নৈতিকতা শিখতে পারে সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শিশুদের কথা মাথায় রেখে খুব শিগগির আমরা বাংলায় ডাবকৃত মজার মজার কার্টুন সিনেমা প্রচার করব, যা বৈশাখী টিভির দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।’