শিশু কিশোরদের জন্য ‘কিশোর বাংলা’-র ঈদ সংখ্যা এখন অনলাইনে
কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী কোরোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে শিশুকিশোরদের জন্য কিশোর বাংলা’র ঈদ সংখ্যা, ২০২০ পাওয়া যাবে অনলাইনে।
কিশোর বাংলা’র ওয়েবসাইট www.kishorebangla.com -এ ১২ই মে, ২০২০ হতে সকলে বিনামূল্যে পড়তে পারছে এই সংখ্যাটি। বর্তমান কোরোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণের কারণে পাঠকদের জন্য ঘরে বসেই কিশোর বাংলা’র এই ঈদ, ২০২০ সংখ্যাটি পড়ার সুযোগ তৈরির জন্যই এই উদ্যোগ।
বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিশোর বাংলা’র অফিসে যোগাযোগ করলে মুদ্রিত সংখ্যাটি পাঠিয়ে দেয়া হবে গ্রাহকের ঠিকানায়।
শিশুকিশোরদের প্রিয় কিশোর বাংলা-র ঈদ সংখ্যা ২০২০ প্রকাশিতআসছে আরও বর্ধিত কলেবরে। এতে লিখেছেন সেলিনা হোসেন, আলী ইমাম, কাইজার চৌধুরী, রহীম শাহ, মোস্তফা মামুন, ধ্রূব এষ, ইশতিয়াক আহমেদ, লুৎফর হাসান, মণি হায়দার, ওবায়দুল সমীর, ইকবাল খন্দকার, আবুল কালাম আজাদ, ইনাম আল হক, আলম তালুকদার, আক্তার হুসেন, সৈয়দ আল ফারুক, অজয় দাশ গুপ্ত, ফারুক হোসেন, সুজন বড়ুয়া, দেলোয়ার বিন রশিদ, আহমেদ জসিম, রাশেদ রউফ, সারোয়ার উল ইসলাম, উৎপল কান্তি বড়ুয়া, সজল দাশ, তাপস রায়, ব্রত রায়, মেহেদী হক- এর মতো দেশবরেন্য কবি ও শিশুসাহিত্যিকেরা।
কিশোর বাংলা’র সম্পাদক মীর মোশাররেফ হোসেন সকলকে ঈদ-উল-ফিতরের আগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে শিশুকিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এবারের ঈদটা সবার জন্যই একটু অন্যরকম হবে। একদিকে আমরা বাবা-মা-ভাই-বোনদের সাথে আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ পালন করবো। অন্যদিকে আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা করাটা হয়তো হয়ে উঠবে না। তবে বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবশ্যই আমরা সকলের সাথেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারবো। তাই, এবারের ঈদ পাবে এক নতুন মাত্রা।“
তিনি আরও বলেন, “এই ঈদে নতুন জামা কাপড়ের আধিক্যটাও হয়তো খুব একটা দেখা যাবে না। কারণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা এবং নিরাপদে ঘরে থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। এবার বরং আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো সবাই যেন ভালোভাবে ঈদ করতে পারে – সে চিন্তাটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য আমরা সবাই নিজ নিজ দিক থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। সবকিছু মিলিয়ে এবারের ঈদটা হয়তো একটা ইতিহাস হয়ে রবে। তোমরা যখন বড় হয়ে যাবে, তখন হয়তো এই ঈদটার গল্পই সবচেয়ে বেশি হবে।”
তিনি ঘরে থাকার এই সময়টায় শিশুকিশোরদের সৃজনশীল কাজ যেমন ছবি আঁকা, গান শিখা, বই পড়া অথবা কোন কিছু বানানোতে ব্যয় করতে বলেন। বাংলাদেশের শিশুকিশোরদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তোমাদের শখের কাজগুলোর চর্চা করতে করতেই হয়তো তুমি এমন কিছু করতে পারবে যা তোমাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাবে।”
তিনি এই অবসরে শিশুকিশোরদের ডাইরি লিখতে উৎসাহিত করে বলেন, “এই ঈদটাকে অথবা কোরোনাভাইরাসের এই দিনগুলিকে স্মরণে রাখতে তোমরা ডাইরি লিখার অভ্যাস করতে পারো। অ্যানা ফ্রাঙ্কের সেই বিখ্যাত ডাইরির মতো তোমাদের ডাইরিও হয়তো একদিন হয়ে উঠবে এক ইতিহাস।“
আন্তর্জাতিক মা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “১০ মে ছিল ‘আন্তর্জাতিক মা দিবস’। এই পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। ছোটবেলা থেকেই মা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করেন, আমাদের মুখে হাসি ফোটানোতেই যেন তার সব সুখ। তাই মায়ের যত্ন নিয়ো, তার কাজগুলোকে এই অবসরে ভাগ করে নিয়ো।“
কিশোর বাংলা’র ঈদ সংখ্যা, ২০২০ বর্তমান সময়ের প্রয়োজনে অনলাইনে প্রকাশ ও বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার এই উদ্যোগকে শিশুকিশোর, অভিভাবক, লেখক, সাহিত্যিকসহ সকলেই সাধুবাদ জানান।