শিশুর জন্য মেডিটেশন

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: সন্তানের জন্য বাবা মায়ের সব সময়ই চেষ্টা থাকে সেরাটা দেওয়ার। শিশুর পোশাক-খাবার-পড়াশোনা সবই দিতে চাই সব থেকে ভালোটা। সব সময় লক্ষ্য রাখি সন্তানের ভবিষ্যৎ কীভাবে  নিরাপদ ও সুন্দর করা যায়। মেডিটেশন মাধ্যমে শিশুদের টেনশন, নিদ্রাহীনতা, মাথাব্যাথা, মাইগ্রেনের মতো শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দূর হয়ে যায়।
খেয়াল করুন, শিশুর মনেও নানা ধরনের চাপ থাকে, ছোট ভাই-বোনের জন্ম, পরিক্ষা-ভীতি, স্কুলের নতুন পরিবেশ-বন্ধুদের সঙ্গে মানিয়ে চলা। অনেক শিশু অমনোযোগী থাকে, অল্পতেই রেগে যায় এমন শিশুর সংখ্যাও কম নয়।
প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট শিশুকে মেডিটেশন করান, সে তার ছোট সমস্যাগুলোর সমাধান নিজেই চিন্তা করে বের করতে পারবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। আর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রয়োজন মানসিক স্থিতিশীলতা, ধীর-স্থির চিন্তাশক্তি থেকেই আমরা নিতে পারি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ছোট বয়স থেকেই যদি করানো যায়, শিশুদের মধ্যে সফল নেতৃত্বের বিকাশ খুব সহজেই তৈরি হবে।
সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে মা-বাবা সবসময়ই চিন্তায় থাকেন। লেখাপড়ায় ভালো করানোর জন্য বাড়িতে রেখে দেন আলাদা শিক্ষক অথবা কোনো কোচিং সেন্টারে প্রতিদিন সন্তান নিয়ে একবার ঢুঁ মারেন তারা। অথচ ক’জন পিতামাতাইবা খোঁজ নিচ্ছেন তার সন্তানের লেখাপড়ায় মনোযোগ তৈরির বিষয়ে।
প্রকৃত অর্থে শিশুদের মনোযোগ তৈরিতে এটা হতে পারে একটি কার্যকর পদ্ধতি। মেডিটেশন আপনার শরীর, মন ও স্নায়ু সবটাই বেশ সতেজ ও প্রাণচঞ্চল রাখে। মেডিটেশন শুধু যে বড়দের ক্ষেত্রেই কাজ করে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। কেননা সম্প্রতি মার্কিন এক গবেষণায় উঠে এসেছে কী করে মেডিটেশন শিশুদের মানসিক চাপমুক্ত করে লেখাপড়ায় আরো বেশি মনোযোগী করে তোলে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পিতা-মাতা ও স্কুল সবাই একটি বিষয় স্বীকার করেছেন যে, মেডিটেশন শুধু শিশুদের মনোযোগই বাড়ায় না, পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, পরিকল্পনা করা এবং সংগঠিত করার মতো ক্ষমতাও অর্জন করে।