কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: সন্তান যদি বেশিক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা টিভি’র পর্দার দিকে তাকিয়ে সময় কাটিয়ে দেয় তবে সেটা থেকে ফেরাতে রয়েছে কিছু উপায়।
এখনকার শিশুরা মোবাইল, ট্যাবলেট ইত্যাদিতে সময় বেশি ব্যয় করে। ফলে দিনে দিনে তারা ঘরমুখী ও কম যোগাযোগ প্রবণ হয়ে উঠছে। তাছাড়া ‘স্ক্রিনে’ সময় বেশি দেওয়ায় তাদের স্বাভাবিক বুদ্ধির বিকাশও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
একটি মানসিক-স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সন্তানের ‘স্ক্রিন টাইম’ কমানোর নানান উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
রোল মডেল হওয়া: সন্তানের সামনে ভালো উদাহরণ তুলে ধরুন। নিজে স্মার্ট ফোন বা ট্যাবলেটে সময় কম ব্যয় করুন এবং তাকে এতে উৎসাহিত করুন। স্ক্রিনের প্রতি নিজের আগ্রহ কমান এবং সন্তানকেও আপনার অনুসারী হতে উৎসাহিত করুন।
উপহার হিসেবে স্মার্ট ফোন নয়: ১০ বছর বয়সি সন্তানের হাতে উপহার হিসেবে স্মার্ট ফোন তুলে দিচ্ছেন বিষয়টা বেশ দৃষ্টিনন্দন। বন্ধুবান্ধবদের পাল্লায় পড়ে সন্তান আপনার কাছে চাইতেই পারে স্মার্ট ফোন। তাই বলে সন্তানের এইসকল দাবী মিটানো ঠিক নয়। সন্তানকে বকাঝকা না করে বোঝান যে, সে যতদিন পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারে পটিয়শি হয়ে না হয়ে উঠবে ততদিন পর্যন্ত তাকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে না।
সাধারণ জায়গায় কম্পিউটার রাখা: ঘরের সবচেয়ে সাধারণ অংশে কম্পিউটার রাখুন যেন, সন্তান কখন এবং কীভাবে তা ব্যবহার করছে সেটা সবার চোখে পড়ে। নিশ্চিত করুন যে, আপনার সন্তান সবার সামনে বসে ডিভাইস ব্যবহার করছে, একা বা গোপনে নয়।
ডিভাইসের জন্য আলাদা সময় নয়: প্রতিদিন পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে সময় কাটানোর একটা রুটিন করুন। আর নিশ্চিত করুন এইসময় কেউ কোনো রকম ডিভাইস ব্যবহার করবে না। এভাবেই আপনার সন্তান শিখবে কীভাবে অন্যার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ও সাধারণভাবে যোগাযোগ করা যায়।
কাজ বাড়ানো: সন্তানকে বাইরের কাজে উৎসাহিত করুন। নিশ্চিত করুন সে যেন ঘরের কোনে বসে মোবাইল চালানোর সময় না পায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটতে অথবা খেলাধুলার কাজে সন্তানকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।