শিশুদের যেসব কথা বলবেন না

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: ৭-১৮ বছর বয়স শিশুদের জীবন গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় সন্তানের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ কিংবা কথা বলা যাবে না, যা তাদের মনে গভীরভাবে কষ্ট দেয়।
 সন্তানকে সুষ্ঠুভাবে লালন-পালন করা মুখের কথা নয়। বাড়ন্ত বয়সের শিশুর জন্য দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায় অভিভাবকের। সন্তানের বয়স যখন ১০ পেরিয়ে যায়, তখন সে অনেক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং তাঁর চারপাশে কী ঘটছে তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।
অভিভাবক হিসেবে সন্তানের প্রতি আপনার দায়িত্ব অপরিসীম। আপনার অবহেলা, খারাপ আচরণ, অতিরিক্ত চাপ, অপমান, দূরত্ব আপনার সন্তানকে আপনার কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিতে পারে।
অভিভাবকরা নানা বিষয়ে প্রায়ই তাদের সন্তানদের কড়া কথা বলে বকা দিয়ে শাসন করেন। ছেলে-মেয়েরা সেগুলো শুনতে শুনতে অভ্যস্থ হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সেই সাধারণ সাধারণ বকাগুলো ভবিষ্যতে তাদের জীবনে ভালো কিছু করার পরিবর্তে ক্ষতিকর প্রভাবই বেশী ফেলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলে-মেয়েদের বয়সন্ধিকালে নিজেকে যাচাই করতে শেখে, তখন তারা নিজেদের সর্ম্পকে নানা কটুক্তি ও নেতিবাচক সম্বোধনকে বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকে।
কটুক্তি শুনতে শুনতে তাদের মন-মানসিকতায় সেগুলো গেঁথে যায়। সন্তানদের মানসিকতাই এমন হয়ে যায় যে, তারা ভালো না, ভালো কিছু করতে পারবেনা। আত্নবিশ্বাস হারানো থেকে শুরু করে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তাদের ওপরে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ছেলে-মেয়েদের শাসন করার পরিবর্তে তাদেরকে ইতিবাচক কথা বললে তার প্রভাবও ইতিবাচক হয়। হয় যেমন- সব খাবার খেলে মা অনেক খুশি হবে, স্কুলের বাড়িকাজ শেষ করলে মা তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবো, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে, তাহলে সন্তানরা ভবিষ্যতে ভালো কিছু করে। নিজেকে ভালো কিছুর সঙ্গে তুলনা করে, পরিশ্রম করতে শেখে।