শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, একটি চক্র শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তি এবং মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মাও শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করে থাকে। এই ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অডিটোরিয়ামে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার যৌথ আয়োজনে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন : শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা শিশুর পুষ্টি, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সর্বোপরি শিশুর সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে মোটামুটি সচেতন রয়েছে কিন্তু অসহায় দরিদ্ররা এখনও শিশু অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রায় ৮ লাখ হতদরিদ্র মাকে ২৪ মাস মেয়াদে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করছে এবং তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য, শিশুর পুষ্টি ও শিশু বিকাশ প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। তিনি বলেন, পথশিশুদের পুনর্বাসন কাজটি অত্যন্ত জটিল। অনেক সময় শিশুরাই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াতে চায় কিন্তু শেল্টার হোমে আসতে চায় না।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তাসলিমা হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী ও বেগম কামরুন্নাহার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন, এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক শহীদ মাহমুদ, ইউনিসেফ এর সামাজিক নীতি বিশেষজ্ঞ হাসিনা বেগম, পুলিশের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন, আইএলও এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা মুনিরা সুলতানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।