শিশুদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের উদ্যোগ ‘ডিসিআই’
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: মা হাসিনা বেগমের সন্তানের চোখ অন্ধ হতে চলছিল। ৫ বছর বয়সেই সেই সন্তানের ৭ দফা অস্ত্রোপচার করতে হয়। শেষ পর্যন্ত চোখ রক্ষা পেয়েছে নিশ্চিত অন্ধত্ব থেকে। তবে সেই চোখ কখনোই স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়নি। সেই সন্তানটিই এখন পিছিয়ে পড়া সমাজের অন্য ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার ব্রত নিয়েছেন।
বরিশালের সেই সন্তানটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এহসান হক। তার অবসর ব্যয় করছেন বাংলাদেশের গরিব পরিবারের শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।
দৃষ্টিশক্তি নিয়ে সমস্যায় থাকা গরিব পরিবারের শিশুদের পুনর্বাসিত করার সুযোগ সৃষ্টির কার্যক্রমে হাত দেন তিনি। ২০০৩ সালে গঠন করেন ‘ডিস্ট্রেসড চিল্ড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল’ (ডিসিআই)।
এটি ইয়েল ইউনিভার্সিটির সেবামূলক একটি প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে। এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন এহসান। সঙ্গে রয়েছেন ইয়েলের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা-শিক্ষক।
মাসিক ১৫ ডলার করে প্রকল্পে অনুদান দিচ্ছেন অসংখ্য আমেরিকান। এর মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছেলে-মেয়েরাও আছেন। নীলফামারি, পটুয়াখালি, হবিগঞ্জ ও বৃহত্তর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ১০ হাজারের বেশি শিশু-কিশোর শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
লেখাপড়ার সুবিধার্থে তারা পোশাক পাচ্ছে, তাদের দরিদ্র পিতা-মাতাকেও নানা সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে এসব শিশু ও তাদের মা-বাবা-ভাই-বোনেরা। গরিবের চেয়েও গরিব পরিবারের চেহারা পাল্টে দিতে মৌলিক কাজগুলো করছে ডিসিআই।