কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: রাষ্ট্রীয় বাহিনী বা বেসরকারি কোনো গোষ্ঠী দ্বারা শিক্ষার্থীরা যেন আক্রান্ত না হন, সে জন্য বিশেষ সেল গঠনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন শিক্ষকবৃন্দ। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সচেতন শিক্ষকবৃন্দ ‘ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা মর্যাদা রক্ষা কর’ শীর্ষক মানববন্ধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৮ এপ্রিল যে শিক্ষকেরা উপাচার্যের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন, তাঁরাই এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন–পরবর্তী কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এ মানববন্ধন থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরে হয়। বিধিসম্মত সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, আন্দোলন চলাকালে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে যাঁরা সুনির্দিষ্টভাবে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মূল্যবোধ এটা পারমিট করে না যে রাত একটা-দুইটার সময়ে মেয়েদের হল থেকে বের করে দিতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশের যে স্বাভাবিক মূল্যবোধ, সেই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রশাসনে আমরা যাঁদের মনোনীত করেছি, তাঁরা সেই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছেন।’