কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: গোপালগঞ্জের পাঁচ উপজেলার ২৪৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই; এগুলো চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভূঁইয়া জানান, এ জেলার পাঁচ উপজেলায় এখন ২৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকরাই কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।
এতে শিক্ষার মান পড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন অভিভাবকরা। সদর উপজেলার কাজুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, তাদের বিদ্যালয়ে ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখানে প্রধান শিক্ষকসহ ৯টি পদ রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক না থাকায় আটজন শিক্ষক দিয়ে কাজ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ গত বছরের মার্চ থেকে শূন্য হয়েছে জানিয়ে তিনি দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করার দাবি জানান।
মাঝিগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, এখানে প্রধান শিক্ষকসহ ১১টি শিক্ষক পদ থাকলেও প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক একজন ও শিশুশ্রেণির একটি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, জেলার পাঁচ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভায় মোট ৮৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২১৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৬টিতে, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৮৪টির মধ্যে ২৮টিতে, কাশিয়ানী উপজেলার ১৬৬টির মধ্যে ৬০টিতে, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৭৮টির মধ্যে ২৭টিতে, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৯৬টির মধ্যে ৫৫টিতে প্রধান শিক্ষক নেই।
এসব বিদ্যালয়ের তালিকা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই বেশ কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে অধিদপ্তর।