কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: আখাউড়া রেলস্টেশনে ২ নম্বর প্লাটফর্মে পথকলিদের পাঠশালা বসে। মোকারিমা আক্তারের বয়স ৮ বছর। আখাউড়া রেলস্টেশনে ভিক্ষা করে বেড়াত মায়ের সঙ্গে। মা-বাবার সঙ্গে আখাউড়া রেলস্টেশনে থাকে সে। মোকারিমা এখন স্বপ্ন দেখছে পড়াশোনা করে একদিন চাকরি করবে।
মোকারিমাকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে এনে আলোর পথ দেখাচ্ছে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদীয়মান সূর্য। মোকারিমার মতো ৪০ শ্রমজীবী শিশু এখানে পড়ছে। আখাউড়া রেলস্টেশনে ২ নম্বর প্লাটফর্মে এ পথকলিদের পাঠশালা বসে। বোরবার বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে পাঠদান।
বিশজন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ পাঠশালাটি। বিনা পয়সায় এ পাঠশালায় পড়াচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ পাঠশালা থেকেই শিশু শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় বই-খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ। যারা এখানে পাঠদান করাচ্ছেন, তারা বিভিন্ন কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও উদীয়মান সংস্থার সদস্য।
এ পাঠশালার শিক্ষার্থীদের বয়স ৬ থেকে ১৫ বছর। এ পাঠশালাটি পরিচালনা করছেন আল-আমিন সজীব। তিনি বলেন, এসব শিশুদের আলোর পথে নিয়ে আসাই আমাদের উদ্দেশ্য, যাতে তারা অপরাধের দিকে পা না বাড়ায়।
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট মো. খলিলুর রহমান বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। ওই সংস্থাটি আমাদের অনুমতি নিয়েই এ পাঠশালাটি চালাচ্ছে।